বিকিকিনি: পসরা নিয়ে ফুটপাথে। ছবি: শশাঙ্ক মণ্ডল
ফুটপাথের একাংশে পসরা সাজিয়ে বসবেন হকার। বাকি তিন শতাংশ বরাদ্দ পথচারীর জন্য। চার মাথার গুরুত্বপূর্ণ মোড়ের ২০ মিটারের মধ্যে দোকান বা পসরা নিয়েও বসতে পারবেন না হকাররা।
উপরের এই নিয়ম শুধুই পুরসভার খাতায় কলমে। বাস্তব ছবি কিন্তু উল্টো। গড়িয়াহাট মোড় থেকে গোলপার্কের দিকে কিংবা রাসবিহারী মোড় — ফুটপাথের তিন শতাংশের বেশিই হকারদের দখলে। মাত্র এক শতাংশ জায়গা পথচারীরা পান হাঁটাচলার জন্য।
ধাক্কাধাক্কি এড়াতে বেশির ভাগ পথচারী ফুটপাথ ছে়ড়ে রাস্তা দিয়ে হাঁটেন। ইদানীং গড়িয়াহাট মোড় কিংবা রাসবিহারী মোড়ের কোথাও কোথাও পুরো ফুটপাথই হকারদের দখলে চলে গিয়েছে। যেমন, রাসবিহারী চার মাথার মোড়। এখানে তিন দিকই হকারের কব্জায়। চার মাথার এই মোড়ের যত্র তত্র একাধিক খাবারের দোকানও গজিয়ে উঠেছে।
রাসবিহারীর মোড়ের এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘‘চলাফেরায় সমস্যা হয় জানি। কিন্তু এই দোকানেই নির্ভর করছে রুজি রোজগার।’’ গড়িয়াহাটে বাজার করতে আসা নন্দিতা রায় জানান, জিনিস নিয়ে ভিড়ে হাঁটতে পারছিলাম না। তাই নিরুপায় হয়ে বিপদজনক ভাবে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছি।’’
কলকাতা পুরসভা সূত্রের খবর, তৃণমূল বোর্ড ক্ষমতায় আসার পর হকার নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি কমিটি তৈরি করেছিল। অভিযোগ, সেই কমিটি নামমাত্র। কোনও কাজই করেনি। আইনও আটকে খাতায় কলমেই। উপরন্তু আগের চেয়ে ফুটপাথে হকারের সংখ্যা বেড়েছে বলেই পুরসভার একটি সূত্রের দাবি।
কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (বর্জ্য) দেবব্রত মজুমদার বলেন, ‘‘পুলিশ ও পুরসভা প্রায়ই হকারদের নিয়ে সমীক্ষা চালায়। এ ভাবে ফুটপাথ কোথাও দখল হয়েছে বলে জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখব।’’