প্রতীকী ছবি।
ভেঙে পড়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নীচে একটি পরিবার নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। আর একটি পরিবার ঘরহারা। তবুও ১৬ নম্বর শিবতলা স্ট্রিটের ওই বা়ড়ির বারান্দায় এখনও রয়ে গিয়েছে ভাড়াটেদের স্মৃতি!
মঙ্গলবার বেলা ১১টা নাগাদ ওই বাড়িটির একাংশ ভেঙে প়়ড়ে। মারা যান তারাপ্রসন্ন রায়, তাঁর স্ত্রী শোভারানি ও বড় মেয়ে বিউটি। ওই বাড়িতেই থাকা আর একটি পরিবারের ক্ষতি না হলেও তাঁদের সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ-পুরসভা। বুধবার ওই এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, বাড়ির বারান্দায় ঝুলছে পোশাক, গামছা। যেন এখনও সেখানে লোক বসবাস করছে। ভেঙে পড়া বাড়ি থেকে কী ভাবে ধ্বংসস্তূপ সরানো যায়, তার বন্দোবস্ত করছে প্রশাসন।
পুলিশের একটি সূত্রের খবর, বাড়িটি বিপজ্জনক অবস্থায় থাকায় নানা দিকে বাঁশ দিয়ে ভারা বেঁধে কাজ শুরু হবে। বাড়িটির একতলায় থাকা দোকানগুলিও বন্ধ। বাড়ির দু’পাশে গার্ডরেল দিয়ে রাস্তাও বন্ধ করে রাখা হয়েছে।
এ দিন অবশ্য ঘটনাস্থলে গিয়ে বোঝা গেল, ওই একটি বাড়িই নয়, ওই এলাকায় এমন বাড়ি হাজারো রয়েছে। তার ছাদের তলায় রয়েছেন বহু মানুষ। এলাকার এক দোকান-মালিক বলছিলেন, ‘‘বহু বছর ধরে ২০-২৫ টাকা ভাড়ায় রয়েছেন অনেকে। তাই বিপদ বুঝলেও কেউ সরতে চান না। বাড়িওয়ালাও ভাড়া না পেলে দায় নেবে না। প্রশাসনও চোখ বুজে থাকবে। বিপদ হলে তখন সকলের টনক নড়বে।’’ অনেকে বলছেন, ওই এলাকায় পুরনো বাড়ি ভেঙে নতুন বহুতল গড়ছেন অনেকে। আবার অনেকে দীর্ঘ দিন ভাড়া থাকার সুবাদে ফ্ল্যাটের দাবি জানিয়েও জায়গা ছাড়তে চান না।
মঙ্গলবারের দুর্ঘটনার পরে যেমন তারাপ্রসন্নবাবুর পরিবারও জানিয়েছে, প্রোমোটার ঘর দিতে রাজি না হওয়ায় তাঁরা ওই ভগ্নপ্রায় বাড়িতেই ছিলেন।
কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, বারবার এমন বাড়ি ভেঙে পড়া সত্ত্বেও কেন পুরসভা সক্রিয় হবে না? পুরসভা সূত্রের খবর, বিপজ্জনক বাড়ি থেকে বাসিন্দাদের সরে যেতে বলা হয়। সম্প্রতি এ নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে রাস্তায় রাস্তায় বিজ্ঞাপনও দেওয়া শুরু হয়েছে।