ফাইল চিত্র।
দু’দিনের বৃষ্টিতে জল জমেছিল অনেক জায়গায়। জল বার করতে অস্থায়ী পাম্প বসিয়ে সোমবারেও জলমগ্ন রইল নিউ টাউন-রাজারহাটের বেশ কিছু নিচু এলাকা। যদিও দ্রুত ওই জল সরানোর আশ্বাস দিয়েছে রাজারহাট পঞ্চায়েত প্রশাসন।
রাজারহাট পঞ্চায়েত এলাকার বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়ে গিয়েছিল। কিছু জায়গায় জল সরে গেলেও গৌরাঙ্গনগর, জ্যাংড়া-হাতিয়াড়া ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা, নারায়ণপুরের বেশ কিছু এলাকায় এখনও জল জমে রয়েছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, এলাকায় জল জমার এই সমস্যা বহু দিনের। ভারি বৃষ্টি হলে কয়েক দিন ধরে জল জমে থাকে সেখানে। ফলে ভোগান্তির শিকার হন বাসিন্দারা। ঘিঞ্জি ওই এলাকায় নিকাশি ব্যবস্থার অবস্থাও বেহাল। পঞ্চায়েতের অবশ্য দাবি, জ্যাংড়া-হাতিয়াড়া ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কিছু অংশ ছাড়া বাকি সব জায়গা থেকেই জল ইতিমধ্যে নেমে গিয়েছে। যে অংশ এখনও জলমগ্ন, সেখানে অতিরিক্ত পাম্প বসিয়ে জল নিষ্কাশনের কাজ চলছে।
পঞ্চায়েত সদস্য তথা স্থানীয় তৃণমূল নেতা শিবু গায়েন জানান, ওই এলাকায় আগের চেয়ে অবস্থার উন্নতি হয়েছে। নিকাশি ব্যবস্থা উন্নত করতে কয়েকটি বড় নালা করা হয়েছে। আরও নালা তৈরির প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু শুধু পঞ্চায়েতের পক্ষে সেই ব্যয় বহন করা সম্ভব নয়। প্রয়োজনে হিডকোর কাছে সাহায্যের আবেদন করা হবে বলেও পঞ্চায়েত সূত্রে জানানো হয়েছে।
রাজারহাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রবীর করের অবশ্য দাবি, রাজারহাটে নিকাশি পরিকাঠামো আগের থেকে উন্নত হয়েছে। তবে তাতেও সমস্যা পুরোপুরি মেটেনি। কারণ যে সমস্ত সরকারি জমির উপরে যত্রতত্র বাড়ি তৈরি হয়েছে এবং নিচু এলাকা রয়েছে, সেখানে নিকাশি ব্যবস্থা পর্যাপ্ত নয়। কী ভাবে সেখানে নিকাশি ব্যবস্থা গড়ে তোলা যায়, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে।