প্রতীকী ছবি।
ধর্মতলায় একটি প্রতিবাদসভায় আসার পথে দুর্ঘটনায় কব্জি থেকে হাত কেটে বাদ গেল এক যুবকের। আহতের সংখ্যা একাধিক। মঙ্গলবার সকালে শাসনের দুগধিয়া মোড়ের কাছে দু’টি গাড়ির মধ্যে গায়ে গায়ে ঘষা লেগে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, বছর বাইশের ওই যুবকের নাম শামিম হোসেন। তিনি শাসনের ভারপাড়ার বাসিন্দা। যে গাড়িটির সঙ্গে তাঁদের গাড়ির ধাক্কা লেগেছিল, তার চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আটক করা হয়েছে গাড়িটিও।
দুর্ঘটনার পরে আহতদের উদ্ধার করে বারাসত জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই হাসপাতালের সুপার সুব্রত মণ্ডল বলেন, ‘‘ওই যুবকের হাতের অংশ তাঁর পরিবারের লোকজন হাসপাতালে এনেছিলেন। কিন্তু তখন আর তা জোড়া দেওয়ার মতো অবস্থায় ছিল না। ওঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। অন্যদের অবস্থা স্থিতিশীল।’’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, খড়িবাড়ির দিক থেকে মাছ নিয়ে একটি গাড়ি আসছিল। অন্য গাড়িটি শাসনের গোলাবাড়ি-ভারপাড়া থেকে আমিনপুর হয়ে কলকাতার দিকে যাচ্ছিল। ওই গাড়িতেই ছিলেন ধর্মতলার জমায়েতে যোগ দিতে যাওয়া লোকজন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’টি গাড়িই যথেষ্ট গতিতে চলছিল। তখনই সে দু’টি কোনও ভাবে পাশাপাশি ঘষে গেলে জখম হন কয়েক জন। ঘটনাস্থলেই শামিমের ডান হাত কব্জি থেকে কেটে আলাদা হয়ে যায়। ইদ্রিস আলি নামে এক যুবক এবং আরও এক জনের হাত ভাঙে। ইদ্রিসের আঘাত গুরুতর। অপর গাড়িটির চালক ইমরান আলিকে গ্রেফতার করেছে শাসন থানার পুলিশ।
প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, প্রতিবাদসভায় যোগ দিতে আসা লোকজন গাড়ির মাথায় বিপজ্জনক ভাবে বসেছিলেন। স্লোগান দেওয়ার সময়ে গাড়ির বাইরের অংশে তাঁদের হাত ছিল। তাই উল্টো দিক থেকে আসা গাড়িটির সঙ্গে তাঁদের গাড়ির ঘষা লাগলে মাঝে পড়ে যায় কয়েক জনের হাত।
স্থানীয় বাসিন্দা জুলফিকার আলি জানান, পেশায় দর্জি শামিম সম্প্রতি বিয়ে করেছেন। এই দুর্ঘটনার ফলে তাঁর ভবিষ্যৎই এখন প্রশ্নের মুখে। জুলফিকার আরও জানান, ইদ্রিসকে বারাসত হাসপাতাল থেকে আর জি করে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। দুর্ঘটনার পরে ওই রাস্তায় যানবাহন চলাচলের গতি নিয়ন্ত্রণের দিকে নজরদারি বাড়িয়েছে পুলিশ। বারাসত জেলা পুলিশ জানিয়েছে, রাস্তা ভাল হওয়ার কারণে অধিকাংশ চালকই বিপজ্জনক গতিতে গাড়ি চালাতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটাচ্ছেন।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।