শনিবার দমদমের একটি খোলা ম্যানহোলে পড়ে রঞ্জন সাহা নামে এক অটোচালকের মৃত্যু হয়। —ফাইল চিত্র।
দমদমে সেভেন ট্যাঙ্কস এলাকায় ম্যানহোলে পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় কার্যত স্থানীয় বাসিন্দাদের ঘাড়েই দায় চাপিয়ে দিল পূর্ত দফতর। সূত্রের খবর, দফতরের একটি অভ্যন্তরীণ রিপোর্টে জানানো হয়েছে যে ওই এলাকায় ম্যানহোলের ঢাকনা খোলাই ছিল। তবে এলাকার বাসিন্দারাও এই ঘটনার জন্য ‘দায়ী’ বলে মনে করে পূর্ত দফতর।
সূত্রের খবর, এই ঘটনায় প্রকারান্তরে স্থানীয় বাসিন্দাদের দিকেই দায় ঠেলেছে পূর্ত দফতর। রিপোর্টে দাবি, ওই ম্যানহোলটির ঢাকনা সরিয়ে তা শৌচাগার হিসাবে ব্যবহার করতেন এলাকাবাসীরা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বার বার ওই ম্যানহোলটির ঢাকনা লাগানো হলেও হয় তা সরিয়ে নেওয়া হত অথবা সেটি চুরি হয়ে যেত। এ নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন বিড়ম্বনায় পড়লেও এলাকার বাসিন্দারা ম্যানহোলের ঢাকনা গায়েব হওয়া নিয়ে কোনও অভিযোগ করেননি বলেও দাবি। সে কারণেই এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি বলে জানানো হয়েছে ওই রিপোর্টে।
প্রসঙ্গত, শনিবার দমদমের একটি খোলা ম্যানহোলে পড়ে রঞ্জন সাহা নামে এক অটোচালকের মৃত্যু হয়। ওই এলাকাটি কলকাতা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে পড়ে। এই ঘটনা নিয়ে কলকাতা পুরসভা এবং পূর্ত দফতরের চাপানউতরের মধ্যেই এই অভ্যন্তরীণ রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। যদিও তা এখনও পর্যন্ত প্রকাশ্যে আসেনি। পুরসভা দায় চাপিয়েছে পূর্ত দফতরের উপরে। তাদের যুক্তি, ম্যানহোলটির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পূর্ত দফতরের। পূর্ত দফতরের পাল্টা যুক্তি, ম্যানহোলের ঢাকনা কেন খোলা, তা স্থানীয় পুর প্রতিনিধিরই খেয়াল করার কথা।
বস্তুত, ম্যানহোলের মধ্যে পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু কী ভাবে হয়, তা নিয়ে ঘটনার দিনই প্রশ্ন তুলেছিলেন পুর প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেছিলেন, ‘‘একটি পাঁচ ফুটের গর্তে প়ড়ে কী করে এক ব্যক্তি মারা গেলেন? এ বিষয়ে সত্য জানতে পুলিশি তদন্তের উপর ভরসা রাখতে হবে।’’