ডান হাতের তিনটি আঙুল কাটা পড়েছিল নদিয়ার বাসিন্দা সনৎ কুমার পালের। নিজস্ব চিত্র।
৬ ঘণ্টা অস্ত্রোপচারের পর রোগীকে সুস্থ করে তুললেন চিকিৎসকেরা। কাজ করতে করতে কারখানার যন্ত্রে ওই ব্যক্তির ডান হাতের তিনটি আঙুল কাটা পড়েছিল। বাকি আঙুলগুলিও জখম হয়েছিল। সেই হাত নিয়ে শীঘ্রই স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবেন রোগী, তেমনটাই দাবি চিকিৎসকদের।
নদিয়ার বাসিন্দা সনৎকুমার পাল। ঝাড়গ্রামের কাছে একটি কাগজের কারখানায় কাজ করেন তিনি। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১০ জানুয়ারি কারখানার যন্ত্রে কাগজ কাটতে গিয়ে অসাবধানতাবশত ডান হাতের আঙুলের উপর কোপ পড়ে যায়। কাটা পড়ে তিনটি আঙুল। ওই হাতের বাকি আঙুলগুলিও গুরুতর ভাবে জখম হয়।
দুর্ঘটনার পর ৪৮ বছরের সনৎকে সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় সরকারি হাসপাতালে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে কলকাতার কোনও সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। তার পরেই রোগীকে ভর্তি করানো হয় ঢাকুরিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে।
রাত ১২টার সময় হাসপাতালে ভর্তির পর আড়াইটে নাগাদ তাঁর হাতে অস্ত্রোপচার করা হয়। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অখিলেশ আগরওয়ালের নেতৃত্বে চিকিৎসকদের একটি দল দীর্ঘ ৬ ঘণ্টা ধরে অস্ত্রোপচার করেন।
অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কেটে যাওয়া আঙুলগুলি রোগীর হাতে আবার জুড়ে দেন চিকিৎসকেরা। বাকি আঙুলগুলিতেও রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক হয়। রোগী জানান, তিনি হাতের আঙুলে সাড় পেয়েছেন। আগের চেয়ে অনেকটা সুস্থ বোধ করছেন।
চিকিৎসক অখিলেশ জানিয়েছেন, আগামী তিন মাসের মধ্যে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবেন সনৎ, সে বিষয়ে তিনি আশাবাদী। হাত দিয়ে ফের আগের মতোই কাজ করতে পারবেন তিনি।
তবে আপাতত রোগীকে তিন সপ্তাহ সম্পূর্ণ বিশ্রাম নিতে বলা হয়েছে। কোনও ভাবেই ডান হাত দিয়ে কোনও কাজ করা যাবে না। হাসপাতাল থেকে শনিবার ছেড়ে দেওয়া হয়েছে তাঁকে।