পিন্টু রায়
দোকানে আগুন লেগে ঘুমন্ত অবস্থায় মৃত্যু হল এক যুবকের। মঙ্গলবার ভোরে নারকেলডাঙা রেল সেতুর কাছে ঘটনাটি ঘটেছে। মৃতের নাম পিন্টু রায় (২৮)। কাছেই বস্তি এলাকায় তাঁর বাড়ি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পিন্টু পেশায় গাড়িচালক ছিলেন। প্রতিদিনের মতো সোমবার রাতেও কাজ থেকে ফিরে খাওয়া সেরে নারকেলডাঙা মেন রোডের ধারে দাদা সন্তুর সাইকেল সারানোর দোকানে ঘুমিয়েছিলেন তিনি। রাস্তার ধারের ওই দোকানে আগুন লাগার খবর পেয়ে দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। তার আগেই ঘুমন্ত অবস্থায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ওই যুবকের।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, মঙ্গলবার ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ স্থানীয় কয়েক জন পিন্টুদের বাড়িতে গিয়ে দোকানে আগুন লাগার খবর দেন। পরিজনেরা তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে এসে দেখেন, দমকলকর্মীরা পিন্টুর অর্ধদগ্ধ দেহ বার করছেন। তাঁকে এন আর এস হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বাড়িতে জায়গা কম থাকায় পিন্টু দাদার দোকানেই ঘুমোতেন। ক্যাম্প খাট-সহ দোকান পুড়ে পিন্টুর দেহ পাশের নর্দমায় পড়ে যায়। পুলিশ ও দমকলকর্মীরা দেহ উদ্ধার করেন।
আগুন কী ভাবে লাগল, সে বিষয়ে স্থানীয়দের থেকে দু’রকম ব্যাখ্যা মিলছে। অনেকের মতে, ওই গুমটিতে বিদ্যুতের সংযোগ ছিল। সে ক্ষেত্রে শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে। আবার অন্য মতে, মশা মারার ধূপ জ্বালিয়ে পিন্টু ঘুমোতেন। তা থেকেও আগুন লাগতে পারে। তবে দমকলের ডিজি রণবীর কুমারের বক্তব্য, ‘‘ফরেন্সিক পরীক্ষার পরেই আগুন লাগার কারণ স্পষ্ট হবে।’’
সন্ধ্যায় নারকেলডাঙা মেন রোডে পিন্টুর দেহ পৌঁছলে জ্ঞান হারাচ্ছিলেন বৃদ্ধা মা। ভিড় করেন প্রতিবেশীরাও।