প্রতীকী চিত্র।
দু’মাসের পুত্রসন্তানকে বিক্রির অভিযোগে বাবাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। টমাস মণ্ডল নামে ওই ব্যক্তিকে বুধবার রাতে সোনারপুর থানার নতুনপল্লি এলাকা থেকে ধরা হয়। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশ। শিশুটিকে হোমে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, টমাসের স্ত্রী ঝুম্পা মাস দুয়েক আগে কলকাতার নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে একটি পুত্রসন্তানের জন্ম দেন। প্রতিবেশীদের দাবি, সন্তানের জন্মের পরেই টমাস ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছিলেন। হাসপাতাল থেকে বাড়ি আসার পরেই শিশুটিকে টমাস এন্টালি থানা এলাকার এক দম্পতির কাছে বিক্রি করে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বুধবার রাতেই এন্টালি থানা এলাকায় ওই দম্পতির খোঁজে তল্লাশি করা হয়। কিন্তু ওই শিশুর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার টমাসের এক প্রতিবেশীর সাহায্যে শিশুটির খোঁজ মেলে।
প্রতিবেশীরা জানান, টমাস এলাকায় জমি বিক্রির দালালির ব্যবসা করেন। প্রতিবেশীদের অভিযোগ, ছেলেকে বিক্রি করে দেওয়ার পরে স্ত্রীকে বাড়িতে তালা দিয়ে বন্ধ করে রাখতেন টমাস। তিনি যখন বাড়িতে থাকতেন না তখন পাহারার ব্যবস্থাও করেছিলেন। এক প্রতিবেশীর দাবি, ছেলের প্রসঙ্গ তুললেই স্ত্রীকে মারধর করতেন টমাস। স্থানীয় সূত্রে খবর, বছর দুয়েক আগে ঝুম্পার সঙ্গে টমাসের বিয়ে হয়। দু’জনেরই এটি দ্বিতীয় বিয়ে। সম্প্রতি ছেলেকে বিক্রির বিষয়টি প্রতিবেশীদের জানিয়েছিলেন ঝুম্পা। তাঁরাই বিষয়টি স্থানীয় ওয়ার্ড কমিটির সদস্য বাসুদেব ধরকে জানান। বুধবার বাসুদেববাবু থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ জানিয়েছে, ছেলে তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে বলে হাসপাতাল থেকে জানানো হয়েছিল বলে দাবি করেছে টমাস। আর্থিক সঙ্গতি না থাকায় স্ত্রীর সম্মতি নিয়েই ছেলেকে বাঁচাতে ওই দম্পতির হাতে তুলে দিয়েছে বলেও দাবি ধৃতের। ওই দম্পতির থেকে ১৫০০ টাকা নিয়েছিল বলে জেরায় কবুল করেছে টমাস।