rape

Rape: রাতের পর রাত ধর্ষণ কর্মচারী যুবককে, বাঁশদ্রোণীতে ধৃত দোকান-মালিক

জোর করে মদ খাইয়ে ধর্ষণের অভিযোগ যুবককে। কাজ ছাড়তে চাইলে মারধর, হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ অগস্ট ২০২১ ১৯:৫০
Share:

অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে বাঁশদ্রোণী থানার পুলিশ। —ফাইল চিত্র।

বাঁশদ্রোণীতে যুবককে ধর্ষণের অভিযোগ। যে রংয়ের দোকানে কাজ করতেন ওই যুবক, অভিযুক্ত সেই দোকানের মালিক শুভজিৎ সরকার। গত দু’মাস ধরে কর্মচারী ওই যুবককে তিনি ধর্ষণ করে আসছিলেন বলে অভিযোগ। শুভজিৎকে গ্রেফতার করেছে বাঁশদ্রোণী থানার পুলিশ। রবিবার তাঁকে আদালতে তোলা হবে।

Advertisement

বাঁশদ্রোণীথানার পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগকারী যুবকের বয়স ২২-এর কাছাকাছি। তিনি বিবাহিত, তবে স্ত্রী বাপের বাড়ি থাকেন। স্থানীয় একটি রংয়ের দোকানে কর্মরত ওই যুবক। শুক্রবার সকালে দোকানের মালিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।

Advertisement

অভিযোগকারী যুবক নিজে থেকেই ইতিমধ্যে এসএসকেএম হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষা করিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে পুলিশের তরফেও ফের এক বার তাঁর পরীক্ষা করানো হবে। তার পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে পুলিশ।

সংবাদমাধ্যমেও নিজেকে ধর্ষণের শিকার বলে দাবি করেছেন অভিযোগকারী ওই যুবক। জানিয়েছেন, বেশ কিছু দিন ধরে স্ত্রীর সঙ্গে বনিবনা হচ্ছিল না তাঁর। তার পর থেকে স্ত্রী বাপের বাড়ি এবং তিনি বাবা-মায়ের সঙ্গে বাঁশদ্রোণীর বাড়িতে থাকছিলেন। তাই দোকানেই বেশি সময় দিচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু দু’মাস আগে পরিস্থিতি অন্য দিকে মোড় নিতে শুরু করে বলে জানিয়েছেন তিনি।

ওই যুবক জানিয়েছেন, সম্প্রতি দ্বিতীয় বার গর্ভবতী হয়ে পড়েন তাঁর স্ত্রী। জানতে পেরে ছুটির আবেদন করেন তিনি। কিন্তু ধমক দিয়ে তাঁকে নিরস্ত করেন দোকানের মালিক। কাজে মন দিতে বলেন। তার পর থেকেই নানা বাহানায় তাঁকে দোকানে আটকে রেখে শুভজিৎ যৌন নিগ্রহ এবং ধর্ষণ করতে শুরু করেন বলে অভিযোগ অভিযোগকারীর।

ওই যুবকের অভিযোগ, রাত হয়ে গেলেও তাঁকে বাড়ি যেতে দিতেন না শুভজিৎ। জোর করে মদ খাওয়াতেন। তার পর শুরু হত যৌন নিগ্রহ। একাধিক বার শুভজিৎ তাঁকে ধর্ষণও করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন ওই যুবক। শুধু তাই নয়, প্রায়শই বেশ কয়েক জন সাঙ্গপাঙ্গকে নিয়ে শুভজিৎ তাঁর উপর চড়াও হতেন বলে দাবি তাঁর।

অভিযোগকারীর দাবি, স্ত্রী সঙ্গে থাকেন না। তিনি কখন বাড়ি ফেরেন, বয়স্ক মা-বাবা তা নিয়ে মাথা ঘামাতেন না। সেই সুযোগেই তাঁর উপর অকথ্য অত্যাচার চালাতেন শুভজিৎ। তা সহ্য করতে না পেরে চাকরি থেকে ইস্তফা দিতে চেয়ে চিঠি দেন তিনি। কিন্তু তাতে মারধর করা হয় তাঁকে। হুমকিও দেওয়া হয়।

অভিযোগকারীর আইনজীবী সংবাদমাধ্যমে জানান যে, রাতের পর রাত অকথ্য অত্যাচার সহ্য করতে করতে শরীর ভেঙে গিয়েছিল ওই যুবকের। । মানসিক অবসাদেও ভুগতে শুরু করেন তিনি। তাতেই বাড়ির লোকের টনক নড়ে। তাঁদের চাপের মুখে পড়েই সত্য কথা খুলে বলেন ওই যুবক। পরিবারের লোকজন সাহস দেওয়াতেই থানায় যান শেষমেশ।

অভিযুক্ত শুভজিতের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৪১ (অপরাধমূলক আচরণ), ৩২৩ (শারীরিক নিগ্রহ), ৩৭৭ (জোরপূর্বক সঙ্গম), ৫০৬ (ভয় দেখানো) এবং ৩৪ (একসঙ্গে অনেকে মিলে অপরাধ ঘটানো) নম্বর ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আর কে কে এই ঘটনায় যুক্ত ছিল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement