খন্দপথ: এমনই শোচনীয় অবস্থা হাওড়ার বেনারস রোডের। বুধবার। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার
হাওড়া শহরের রাস্তাঘাটের দুর্দশা নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠকে উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুরমন্ত্রী ও পুর কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, অবস্থা খতিয়ে দেখতে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীর সেই নির্দেশের পরেই পুজোর আগে তড়িঘড়ি রাস্তা মেরামতিতে নামছে পুর প্রশাসন।
এ বছর বর্ষা এখনও তার স্বরূপ দেখায়নি। তা সত্ত্বেও হাওড়ার কোনও রাস্তায় দু’ইঞ্চি, কোথাও চার-পাঁচ ইঞ্চি গভীর গর্ত হয়ে গিয়েছে। বাদ যায়নি অলিগলিও। বৃষ্টি হলে ওই গর্তে জল জমে ষোলো আনা বিপদের আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। বুধবার হাওড়ার পুর প্রশাসক তথা পুর কমিশনার বিজিন কৃষ্ণ জানান, পুজোর আগেই রাস্তাগুলিতে তাপ্পি দেওয়ার কাজ (প্যাচ ওয়ার্ক) শুরু হবে। পুরোপুরি ভাবে রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু
হবে নভেম্বরে।
পুর কমিশনার বলেন, ‘‘হাওড়ার সমস্ত ভাঙাচোরা রাস্তায় শীঘ্রই তাপ্পি দেওয়ার কাজ শুরু হবে। তবে লিলুয়ার বেশ কিছু রাস্তার অবস্থা আরও খারাপ। সেগুলি পুজোর আগেই পুরো সারিয়ে ফেলা হবে।’’ তিনি জানান, লিলুয়ার রবীন্দ্র সরণি-সহ লিলুয়া স্টেশন রোড এলাকার কিছু রাস্তা ও অলিগলি সংস্কারের জন্য আগেই রাজ্য সরকারের কাছে পাঁচ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছিল। আশা করা যাচ্ছে, খুব তাড়াতাড়ি সেই অর্থ বরাদ্দ হয়ে যাবে। তার পরেই কাজে হাত দেওয়া হবে।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, পুর ইঞ্জিনিয়ারেরা মোট ৮৭টি ভাঙাচোরা রাস্তার একটি তালিকা তৈরি করেছেন। সেগুলি সংস্কারে কত টাকা খরচ হবে, তা রাজ্য পুর দফতরকে জানানো হয়েছে। পুরসভা সূত্রের খবর, সব রাস্তা সম্পূর্ণ পিচ করার জন্য ২৫ কোটি টাকার বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট (ডিপিআর) তৈরি করা হয়েছে। তা পাঠানো হয়েছে রাজ্য পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরে। যদিও এখনও সবুজ সঙ্কেত আসেনি। তবে পুরকর্তারা আশা করছেন, ওই টাকা অক্টোবর মাসের মধ্যে এসে যাবে। তখনই দ্রুত কাজে নামা হবে।