SSC

একটু সময় দিন, মেধা তালিকায় নাম থাকা কাউকে বঞ্চিত করতে চাই না, অনশনস্থলে বললেন মমতা

হঠাৎই মেয়ো রোডে, প্রেসক্লাবের সামনে অনশনকারীদের কাছে পৌঁছে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০১৯ ২০:২১
Share:

অনশনকারীদের মাঝে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।

মেধা তালিকায় নাম থাকা কেউ চাকরি থেকে বঞ্চিত হোক, তা তিনি চান না। বুধবার হবু শিক্ষকদের অনশনস্থলে গিয়ে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্বাচন মিটে যাওয়া পর্যন্ত পড়ুয়াদের অপেক্ষা করতে বলেন তিনি। এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের একটি কমিটি গড়েছেন। মমতা সেই কমিটির সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে এ দিন আশ্বাস দিয়েছেন। প্রয়োজনে আইন বদল করতেও তাঁর আপত্তি নেই।

Advertisement

এ দিন বিকেলে কালীঘাটে নিজের বাড়িতে সংবাদমাধ্যমের সামনে তৃণমূলের নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ করেন তৃণমূল নেত্রী। সেখান থেকে বেরিয়ে হঠাৎই মেয়ো রোডে, প্রেসক্লাবের সামনে অনশনকারীদের কাছে পৌঁছে যান। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘নির্বাচনী বিধিনিষেধ চালু হয়ে গিয়েছে। এই মুহূর্তে আমি কোনও প্রতিশ্রুতি দিলে, তা বিধিভঙ্গ বলে গৃহীত হবে। তাই নির্বাচন শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলব আপনাদের। এ ব্যাপারে পার্থদাকে কমিটি গড়তে বলেছিলাম। নির্বাচন মিটলে আগামী জুনমাসের প্রথম সপ্তাহেই ওই কমিটির সঙ্গে আলোচনার জন্য ডেকে নেওয়া হবে আপনাদের।’’

মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, ‘‘মেধা তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও কেউ চাকরি থেকে বঞ্চিত হোন, আমি চাই না। সকলকে নিজের বলে মনে করি। তাই আপনাদের আবেদনে ছুটে এসেছি। আমার প্রতি বিশ্বাস থাকলে একটু অপেক্ষা করুন। নির্বাচন মিটলে পার্থদার কমিটির সঙ্গে কথা বলে সমাধান বার করতে হবে। আইন মেনেই সবকিছু করতে হবে। তবে প্রয়োজনে তাতে এককালীন সিদ্ধান্ত নিতে আপত্তি নেই আমাদের। দরকার হলে বদল ঘটানো হবে আইনেও।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: মহাকাশে মহাশক্তি ভারত, মোদীর ঘোষণার পরই কৃতিত্ব নিয়ে শাসক-বিরোধী তরজা​

আরও পড়ুন: রাজ্যের পুলিশ পর্যবেক্ষক আরএসএস ঘনিষ্ঠ, ছবি দেখিয়ে দাবি মমতার​

মেধা তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও তাঁদের চাকরি থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে বলে গত ২৮ দিন ধরে অনশনে বসে রয়েছেন প্রায় ৪০০ হবু শিক্ষক। তাঁদের অভিযোগ, রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগে শূন্যপদ রয়েছে। তা সত্ত্বেও চাকরি থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে তাঁদের। বার বার প্রতিবাদ জানানো সত্ত্বেও বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখেনি রাজ্য সরকার। এ ব্যাপারে উদাসীন শিক্ষা দফতরও।

শুরু থেকেই আন্দোলনের প্রতি সমর্থন ছিল বামেদের। গত কয়েকদিনে অনশনকারীদের পাশে কখনও দেখা গিয়েছে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীকে। কখনও সেখানে পৌঁছেছেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। বিজেপি এবং কংগ্রেস নেতাদেরওআন্দোলনকারীদের সমর্থনে মুখ খুলতে দেখা গিয়েছে। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে একদিন প্রতীকী অনশনে বসেন কবি মন্দাক্রান্তা সেনও। এ সব নিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে পাঁচ সদস্যের কমিটি গড়ার নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পড়ুয়াদের দাবি-দাওয়া খতিয়ে দেখে দ্রুত সমস্যার সমাধান বার করতে বলা হয় ওই কমিটিকে। কিন্তু এ ব্যাপারে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের দাবি করেন আন্দোলনকারীরা। তার পরই এ দিন অনশনস্থলে পৌঁছন মমতা।

(কলকাতার রাজনীতি, কলকাতার আড্ডা, কলকাতার ময়দান, কলকাতার ফুটপাথ -কলকাতার সব খবর জানতে পড়ুন আমাদের কলকাতা বিভাগ।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement