Hospital

Mallick Bazar: ব্যবস্থা হচ্ছে স্কুলগাড়ির, ক্লাসে ফিরছে সেই ছেলে

মঙ্গলবার থেকেই আবার স্কুলে যাবে মল্লিকবাজার এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালের কার্নিস থেকে পড়ে মৃত রোগীর বড় ছেলে।

Advertisement

নীলোৎপল বিশ্বাস

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২২ ০৬:৪৩
Share:

প্রতীকী ছবি

মঙ্গলবার থেকেই আবার স্কুলে যাবে মল্লিকবাজার এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালের কার্নিস থেকে পড়ে মৃত রোগীর বড় ছেলে। বাবা-মায়ের মৃত্যুর পরে তার স্কুলছুট হয়ে পড়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। বিষয়টি জানতে পেরে সোমবার সকালে নিজে ওই ছাত্রের বাড়িতে গিয়ে তার ও তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষক। শুধু পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়াই নয়, সেই সঙ্গে স্কুলে যাতায়াতের ক্ষেত্রেও যাতে ওই ছাত্রের কোনও রকম সমস্যা না হয়, তার জন্য স্কুলের তরফেই একটি স্কুলগাড়ির ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে খবর। আগামী দিনে স্কুলে পড়ার খরচও মকুব করা যায় কি না, সে ব্যাপারেও ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে। এই সমস্ত পদক্ষেপের কথা স্কুলশিক্ষা দফতরকে লিখিত ভাবে জানিয়েছেন ওই প্রধান শিক্ষক।

Advertisement

সম্প্রতি মল্লিকবাজারের ‘ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস’-এর আটতলার কার্নিসথেকে সেখানকারই এক রোগীর পড়ে মৃত্যুর মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। জানা যায়, ওই রোগীর স্ত্রীরও মৃত্যু হয়েছে মাসখানেক আগে। তাঁর বৃদ্ধা মায়ের কাছেই এখন থাকছে ওই রোগীর ন’বছরের এবং আড়াই বছরের দুই ছেলে। কিন্তু ওই ঘটনার পরে বড় ছেলেটিরস্কুলছুট হয়ে পড়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়। সে মাসকয়েক আগে স্কুলে ভর্তি হলেও এক দিনও সেখানে ক্লাস করেনি। বসেনি পরীক্ষাতেও। এখন তাকে স্কুলে নিয়ে যাওয়ারও কেউ নেই বলে জানায় পরিবার।

এ নিয়ে আলোচনা শুরু হতেই সোমবার তার বাড়িতে যান স্কুলের প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় বড়ুয়া। কিন্তু দেখেন, লেক টাউনের ঠিকানায় ওই ছাত্র এখন থাকছে না। রাজারহাটে এক আত্মীয়ের বাড়িতে তাকে এবং তার ভাইকে নিয়ে গিয়ে রাখা হয়েছে।

Advertisement

সঞ্জয়বাবু বলেন, ‘‘সেখানে গিয়ে ওই ছাত্রের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। পড়াশোনা চালাতে যাতে কোনও রকম সমস্যা না হয়, তার জন্য স্কুলশিক্ষা দফতরের নির্দেশ মেনে ওর জন্য রাজারহাটের কোনও স্কুলে পড়াশোনার ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে কি না, সে ব্যাপারেবলেছিলাম। কিন্তু ওই ছাত্রের ঠাকুরমা চান, নাতি আমাদের স্কুলেই পড়ুক। কারণ, তার মা মৃত্যুর আগে ছেলেকে আমাদের স্কুলের তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তি করিয়ে দিয়ে গিয়েছিলেন। তাই আমাদের স্কুলেই সে পড়বে। এখন রাজারহাট থেকে যাতায়াতে যাতে কোনও রকম সমস্যা না হয়, তার জন্য আমরা স্কুলের তরফেই একটি পুলকারের ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। খরচ আমি দেব। ভবিষ্যতে আর কী করা যায়, সেটাও দেখা হবে।’’

প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে দেখা করার পরে সেই ছাত্র বলল, ‘‘স্যর ভাইয়ের আর আমার জন্য চকলেট এনেছিলেন। মঙ্গলবার থেকেই আমি স্কুলে যাব।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement