রবিবার রাজাবাজারের চালপট্টির একাধিক দোকানে আগুন লেগে যায়। —নিজস্ব চিত্র।
রবিবার দুপুরে পুড়ে গেল রাজাবাজারের চালপট্টির একাধিক দোকান। এ দিন দুপুর ২টো নাগাদ প্রথম ধোঁয়া দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দা এবং কয়েকজন ব্যবসায়ী। তাঁরা দমকলে খবর দিলে প্রথমে তিনটি আগুন নেভানোর ইঞ্জিন এসে পৌঁছয়। তার কিছুটা পরেই পৌঁছয় আরও চারটি ইঞ্জিন। কিন্তু ততক্ষণে আগুন অনেকটাই ছড়িয়ে যায়। মূলত কাঠ, বাঁশের মতো জিনিসপত্র থাকায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে বাজারের মধ্যের অস্থায়ী কাঠামোর দোকানগুলিতে। ঘন কালো ধোঁয়ায় দ্রুত ঢেকে যায় গোটা এলাকা। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে।
দমকলের সাতটি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর কাজ শুরু করার পর যাতে আগুন আশপাশে ছড়াতে না পারে তার জন্য আরও চারটি ইঞ্জিন যায়। তবে প্রথম দিকে আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয় দমকল কর্মীদের। দমকলের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘বাজারে পৌঁছনোর রাস্তা এবং যেখানে আগুন লেগেছে সেখানে ঢোকার রাস্তা অত্যন্ত অপ্রশস্ত হওয়ায় সেখানে বড় গাড়ি পৌঁছনো যাচ্ছিল না।’’ দমকল কর্মীরা আশপাশের উঁচু বাড়ি থেকে জল দিতে শুরু করেন। প্রায় চল্লিশ মিনিটের চেষ্টায় আগুনের ছড়িয়ে পড়া আটকাতে পারেন দমকলের কর্মীরা।
এর পরই ধীরে ধীরে আগুনের উৎসস্থলে পৌঁছনোর চেষ্টা করেন তাঁরা। স্থানীয়দের দাবি, বেশ কয়েকটি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। কী ভাবে আগুন লাগল তা এখনও স্পষ্ট নয়। দমকলের এক আধিকারিক বেলা ৩টে নাগাদ জানান, ‘‘আগুন অনেকাংশেই নিয়ন্ত্রণে। আগুনের উৎস চিহ্নিত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে আপাতত আগুন আর ছড়াতে পারছে না।’’ ঘটনাস্থলে থাকা কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর এক কর্তা বলেন, ‘‘আগুনে কারও আটকে পড়ার খবর নেই। কোনও হতাহতের খবর নেই।’’
আরও পড়ুন: পরীক্ষার সময়ে পুলিশের বিশেষ ব্যবস্থা
আরও পড়ুন: পুরসভার কিছু স্কুলে নিরামিষ চলছে বহু বছর
রাজাবাজারে তখন আগুন নেভানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন দমকলকর্মীরা। —নিজস্ব চিত্র।
স্থানীয়রাও জানিয়েছেন, বাজার এ দিন বন্ধ থাকায় কেউ আটকে পড়ার ঘটনা ঘটেনি। কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ২ নম্বর গ্যাস স্ট্রিটের কাছে আগুন লাগে। আগুনের খবর পেয়ে স্থানীয় থানার বাহিনী ছাড়াও হেভি রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াড, পুলিশ কন্ট্রোল রুম ভ্যান এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যদের ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।