মাঝেরহাটে নতুন সেতুর স্বাস্থ্যের উপরে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। —ফাইল চিত্র।
নবরূপে মাঝেরহাট খুব শীঘ্রই চালু হবে। দেখতে আগের চেয়ে আলাদা তো বটেই, নতুন সেতুর স্বাস্থ্যের উপরে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সেতুর ভার কখন কেমন, তা পরিমাপের জন্য বসানো হয়েছে বিশেষ ধরনের সেন্সর। গাড়ি চলাচলের সময় অতিরিক্ত ভার হলেই সেন্সর জানান দেবে। নতুন এই সেতুর উদ্বোধন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে হবে বলেই মঙ্গলবার জানিয়েছেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
নতুন মাঝেরহাট সেতু অনেকটা বিদ্যাসাগর সেতু (দ্বিতীয় হুগলি সেতু)-র আদলে তৈরি করা হয়েছে। লম্বায় প্রায় ৬৫০ মিটার। সেতুর ২২৭ মিটার অংশ ধাতব কেবলের সাহায্যে ঝুলন্ত। পূর্ত দফতর সূত্রে খবর, মাঝেরহাট সেতু সর্বচ্চ ৩৮৫ টন পর্যন্ত ভার বহন করতে সক্ষম। ব্রিজের নীচে প্রায় ১০০ মিটার অংশে রেললাইন গিয়েছে। এই সেতু চালু হলে ডায়মন্ড হারবার রোডে যানবাহনের চাপ অনেকটাই কমবে বলে পূর্ত দফতরের আশা।
এ দিন মাঝেরহাট সেতু পরিদর্শন করেন ফিরহাদ। ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গেও তিনি বেশ কিছুক্ষণ আলোচনা করেন। পরে তিনি বলেন, “যখন মাঝেরহাট সেতু ভেঙে গিয়েছিল, সে এক অন্ধকারময়, অভিশপ্ত দিন ছিল। নবরূপে নির্মিত সেতু দেখে ভাল লাগছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতেসেতুর শুভ সূচনার অপেক্ষায় রয়েছি।”
আরও পড়ুন: হকারদের বাদ রেখেই ঘুরবে লোকালের চাকা, বিক্ষোভের ডাক
আরও পড়ুন: বিশেষ ট্রেনের ভিড় দেখেই আতঙ্কিত হাওড়া
বছর দুয়েক আগে আচমকাই ভেঙে পড়ে মাঝেরহাট সেতু। —ফাইল চিত্র।
২০১৮-র ৪ সেপ্টেম্বর আচমকাই ভেঙে পড়ে মাঝেরহাট সেতু। কয়েক জনের প্রাণও যায়। নতুন করে সেতু নির্মাণেরসময়ে রেল এবং রাজ্য একাধিক বার সঙ্ঘাতে জড়িয়েছে। অবশেষে সব বাধা পেরিয়ে চালু হতে চলেছে দক্ষিণ কলকাতার এককালের ব্যস্ততম এই সেতু।