(বাঁ দিক থেকে) অমিত বোস, অলকানন্দা রায়, এবং কমিটির সভাপতি দেবাশিষ কুমার
প্রয়াণের বহু বছর পরেও তিনি বাঙালির আবেগের সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। তিনি হলেন মহানায়ক উত্তম কুমার। যাঁকে রূপোলি পর্দায় একবার দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতেন লাখ লাখ মানুষ। তাঁর এক গাল ভুবন ভোলানো হাসিতে লুটিয়ে পড়তেন হাজার হাজার রমণী। গত ৩ সেপ্টেম্বর ছিল মহানায়কের ৯৭তম জন্মবার্ষিকী। সেই উপলক্ষ্যে বিগত বছরগুলির মতো এই বছরেও উত্তম মঞ্চে এক সুন্দর সন্ধ্যার আয়োজন করেছিল উত্তম কুমার মেমোরিয়াল কালচারাল কমিটি।
অভিনব এই উদ্যোগে গানে গানে মহানায়কের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন সৈকত মিত্র, মাধুরী দে, সাহেব চট্টোপাধ্যায়, ত্রিজয় দেব, চন্দ্রাবলী রুদ্র দত্ত, সোমদত্তা বন্দ্যোপাধ্যায়, অরিত্র দাসগুপ্ত, মাধুরী দে, দুর্নিবার সাহা, চন্দ্রিকা ভট্টাচার্য্য, সাহেব চট্টোপাধ্যায়, স্বাগতালক্ষ্মী দাশগুপ্ত সহ আরও অনেক বিশিষ্ট শিল্পীরা। নৃত্য পরিবেশনায় ছিলেন শ্রী কোহিনুর সেন বরাট ও তারঁ দল। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বহু বিশিষ্ট মানুষজনও।
তবে মহানায়কের জন্মতিথির এই বিশেষ অনুষ্ঠানের লক্ষ্য ছিল নিছকই বিনোদন নয়। বরং মূল উদ্দেশ্য হল মহানায়কের অসমাপ্ত কাজগুলিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। যার মধ্যে অন্যতম মহানায়কের সমাজসেবামূলক কাজকর্ম। পাশাপাশি মহানায়কের কাজের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা প্রযুক্তিবিদ-সহ অনেক মানুষকে আর্থিক সাহায্য করা এবং তাঁদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা।
উত্তমকুমার মেমোরিয়াল কালচারাল কমিটির সাধারণ সম্পাদক তন্ময় কর জানিয়েছেন, পরবর্তী সময়ে এই মঞ্চেই একটি স্বাস্থ্য শিবিরের আয়োজন করা হবে। যেখানে উত্তমকুমারের কাজের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা সমস্ত মানুষ পরিষেবা পাবেন। এ ছাড়াও তিনি বলেন, “চলচ্চিত্রের সঙ্গে জড়িত প্রযুক্তিবিদ, যাঁরা মহানায়কের সঙ্গে কাজ করেছেন, তাঁদেরকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে পেরে আমরা ধন্য।”