শিয়ালদহের সিভিল অ্য়ান্ড ক্রিমিনাল কোর্ট। —নিজস্ব চিত্র।
আরজি কর-কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারকে শুক্রবার ভার্চুয়াল মাধ্যমে শিয়ালদহ আদালতে হাজির করানো হয়েছে। সেই মামলায় সিবিআইয়ের আইনজীবীর অনুপস্থিতিতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিচারক। বিরক্তির সুরে তিনি প্রশ্ন করেন, ‘‘তবে কি এই মামলায় জামিন দিয়ে দেব?’’ শিয়ালদহ আদালতে অন্তত ৪০ মিনিট দেরিতে আসেন কেন্দ্রীয় সংস্থার আইনজীবী। ধৃতের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শুনানি শুরু হয়ে যাওয়ার পরেও দীর্ঘ ক্ষণ সিবিআইয়ের আইনজীবী আদালতে উপস্থিত ছিলেন না বলে অভিযোগ। সিবিআইয়ের তরফে শুনানিতে যিনি ছিলেন, তিনি সহকারী তদন্তকারী আধিকারিক হিসাবে নিজের পরিচয় দেন। আদালতে সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে কিছু বলার অনুমোদন তাঁর আছে কি না, তা নিয়েই প্রশ্ন তোলেন ধৃতের আইনজীবী।
শুক্রবার আরজি কর মামলার শুনানি শুরু হতেই সিবিআইয়ের আইনজীবীর খোঁজ করেন বিচারক। কিন্তু প্রথমে তাঁকে পাওয়া যায়নি। আদালত কক্ষে উপস্থিতি সিবিআইয়ের এক মহিলা আধিকারিক জানান, তিনি এই মামলার সহকারী তদন্তকারী আধিকারিক। আইনজীবী কোথায় আছেন, তা খোঁজ করে জানাচ্ছেন। এতে বিরক্ত হন বিচারক।
আইনজীবীর খোঁজ করতে আদালত কক্ষ থেকে এর পর বেরিয়ে যান সিবিআইয়ের ওই আধিকারিক। কিছু ক্ষণ ফোনাফুনির পর তিনি আদালত কক্ষে ফিরে জানান, কিছু ক্ষণের মধ্যেই আইনজীবী আদালতে পৌঁছে যাবেন। তাঁর কথা শুনে বিরক্তির সুরে বিচারক বলেন, ‘‘তবে কি এই মামলায় জামিন দিয়ে দেব? সাড়ে ৪টে বাজছে, আইনজীবী আর কখন আসবেন? দেখুন কোথায় আছেন!’’ অন্তত ৪০ মিনিট পর বিকেল ৫টা ১০ মিনিট নাগাদ সিবিআইয়ের এক আইনজীবী আদালতে পৌঁছন। তাঁর নাম দীপক পোরিয়া।
ধৃতের আইনজীবীও সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন আদালতে। জানান, তিনি সকাল থেকে এই মামলার জন্য ঘুরছেন। তদন্তকারী সংস্থার পিছন পিছন ঘুরছেন তিনি। কিন্তু তাঁকে সিবিআইয়ের তরফে কেউ কিছু জানাননি। সিবিআইয়ের আইনজীবী আদালতে পৌঁছনোর পরে ধৃতের আইনজীবী জানান, এর আগে সিবিআইয়ের তরফে যে আইনজীবীকে তাঁরা দেখেছিলেন, তিনি আসেননি। দীপক জানান, তিনি কেন্দ্রীয় সংস্থা নিযুক্ত পূর্ণ সময়ের আইনজীবী। ধৃতের জামিনের বিরোধিতা করেন তিনি। তাঁর ১৪ দিনের জেল হেফাজতের আবেদন জানানো হয়। শুনানি শেষে ধৃতকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।