গ্রাফিক: সনৎ সিংহ
বাগ্যুদ্ধ থেমে যাওয়ার পর ‘পোস্টযুদ্ধ’ অব্যাহত ছিল। বাধ্য হয়ে শনিবার সন্ধ্যায় মাঠে নেমেছিলেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সাংবাদিক বৈঠক করে সাফ জানিয়ে দেন, দলের বাইরে কোনও মন্তব্য চলবে না। কিছু বলার থাকলে দলের অন্দরে বলুন। ঠিক তার পর দিনই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ব্যক্তিগত’ বক্তব্যের প্রেক্ষিতে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের প্রসঙ্গ তুলে ফের বিতর্ক উস্কে দিতে চাইলেন বিজেপি-র আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য।
টুইটে তিনি কল্যাণের একটি বক্তব্যের ভিডিয়ো পোস্ট করে লিখেছেন, ‘তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে।’ এই প্রসঙ্গে তিনি শ্রীরামপুরের সাংসদের উদ্ধৃতিও দিয়েছেন। এর পর তাঁর প্রশ্ন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী ভাবে তাঁর ভাইপোকে আটকাবেন?’
এই টুইটের পাল্টা জবাব দিয়েছেন তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল। তিনিও টুইটে লিখেছেন, ‘এই ধরনের পোস্ট করার আগে মালব্যের ব্যাখ্যা করা উচিত, দলের বিক্ষুদ্ধ নেতা তথাগত রায়ের ‘কামিনী কাঞ্চন’ তত্ত্বের। তা না করে নিজের দলের দুর্নীতি থেকে দৃষ্টি ঘোরানোর জন্য অর্থহীন পোস্ট করছেন। স্বাভাবিক জীবনের সমস্ত বৈচিত্র-সহ তৃণমূল একটি সুখী পরিবার।’
দলের মধ্যে অন্তঃকলহ নিয়ে শাসক-বিরোধী দু’পক্ষই জেরাবার। পার্থর ‘কড়া বার্তা’র পর কল্যাণকে নিয়ে পোস্ট একেবারে বন্ধ হয়নি। অন্য দিকে, রাজ্য কমিটি ভেঙে দেওয়া এবং কমিটিতে মতুয়া প্রতিনিধি না থাকা নিয়েও বিজেপি-র অন্দরে বিক্ষোভ অব্যাহত। ১২ফেব্রুয়ারি পুরভোটের আগে এই অন্তঃকলহ থামাতে চাইছে দু’পক্ষ।