প্রতীকী চিত্র।
গত সাত মাসে করোনা পরিস্থিতিতে আত্মহত্যার সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। লালবাজার সূত্রের খবর, চলতি বছরের এপ্রিল থেকে নভেম্বর পর্যন্ত কলকাতা পুলিশ এলাকায় সেই সংখ্যাটা প্রায় চারশোয় পৌঁছে গিয়েছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তদন্তে উঠে এসেছে, কাজ হারানোর জন্য অবসাদই আত্মহত্যার অন্যতম কারণ। কোনও ভাবেই থামছে না সেই প্রবণতা।
আরও একটি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটল সোমবার গভীর রাতে। পুলিশ জানিয়েছে, নেতাজিনগর থানা এলাকার শ্রীকলোনিতে এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন। মৃতের নাম সোমনাথ নাগ। তাঁর বয়স ২৬।
এ ক্ষেত্রেও প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, কাজ হারিয়ে অবসাদগ্রস্ত ছিলেন তিনি। পুলিশ সূত্রের খবর, সোমবার রাত বারোটা নাগাদ নিজের বাড়ির একতলার ঘরে সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁকে দেখেন পরিজনেরা। তাঁদের চেঁচামেচি শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। তাঁকে উদ্ধার করে বাঘা যতীন স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: ব্যবসায়ীর রহস্য মৃত্যু বারুইপুরে
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, সোমনাথবাবু বৌবাজারের একটি গয়নার দোকানে কাজ করতেন। লকডাউনের জন্য তাঁর সেই কাজ চলে যায়। এর পর থেকেই গত কয়েক মাস ধরে তিনি মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত ছিলেন বলে পরিবার সূত্রের খবর। সোমনাথবাবুর বাড়িতে বৃদ্ধা মা, স্ত্রী ও এক শিশুসন্তান রয়েছে। পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে।