‘তোমাদের সঙ্গে একমত, অনেক অধ্যক্ষ রাজনৈতিক ভূমিকা পালন করেন’, ডাক্তারদের বৈঠকে মমতা
সোমবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠক কি সফল হবে? ধর্মতলায় আন্দোলনকারীদের অনশন কি উঠে যাবে এ বার? এ সব প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে।
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: ভিডিয়ো থেকে।
কেন্দ্রের দিকে আঙুল
মমতার অভিযোগ, কেন্দ্রের থেকে টাকা মেলে না। তার পরেও রাজ্যের হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
চার থেকে ১৭
মমতা বলেন, ‘‘আগে ডাক্তারের সংখ্যা ছিল চার হাজার। আমরা এসে তা বৃদ্ধি করে ১৭ হাজার করেছি। ৩৫টি মেডিক্যাল কলেজ করেছি। পেডিয়াট্রিক বিভাগ প্রায় ৬০০। সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র হয়েছে। ওগুলো প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্র। সেখানে সব চিকিৎসক দিলে হাসপাতাল চলবে কী করে?’’
অধ্যক্ষদের সমালোচনা!
মমতা বলেন, ‘‘অনেক অধ্যক্ষ, সুপার নিজেদের কাজ করেন না। তোমাদের সঙ্গে আমি একমত। তাঁরা রাজনৈতিক ভূমিকা পালন করেন।’’
‘তোমাদের মত স্বাগত’
মমতা বলেন, ‘‘কাজটা তোমরাই করবে। তোমাদের মতামতকে স্বাগত জানাই।’’
শূন্যপদে নিয়োগ
পন্থ জানিয়েছেন, রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলির শূন্য পদে দ্রুত নিয়োগের চেষ্টা করছে রাজ্য।
পন্থের আশ্বাস
২০২৫ সালের মার্চের মধ্যে নির্বাচনী প্রক্রিয়া শেষ করা হবে বলে জানালেন পন্থ।
কাউন্সিল প্রসঙ্গে মমতা
মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, কাজ অনেকটাই এগিয়েছে। কমিটির কি সুযোগ-সুবিধা, দায়িত্ব রয়েছে, তা নিয়ে জানানো হবে। কোথায় প্রশাসনিক পদক্ষেপ করা যায়, কোথায় যায় না, তা নিয়েও স্পষ্ট জানানো হবে। মমতা বলেন, ‘‘কেউ কেউ ইচ্ছা মতো কাউন্সিল তৈরি করছেন।’’
‘কাজ হয়েছে’
মুখ্যসচিব বলেন, ‘‘ইতিমধ্যে অনেক কাজ এগিয়েছে। প্রত্যেক মেডিক্যাল কলেজে যাতে নিরাপদ পরিবেশ থাকে, তা আমাদেরও চেষ্টা। আমরা স্টেট লেভেল টাস্ক ফোর্স করেছি। গ্রিভ্যান্স রিড্রেসল সেল গঠন করা হয়েছে। ইমেল আইডি দিয়েছি, যেখানে অভিযোগ জানাতে পারবেন।’’
চা পরিবেশন
মুখ্যমন্ত্রী জিজ্ঞেস করেন, ‘‘তোমরা চা খাবে তো?’’ এর পরেই নবান্নে উপস্থিত জুনিয়র ডাক্তারদের চা পরিবেশন করা হল।
মতদ্বৈধ!
আন্দোলনকারী এক চিকিৎসক বলেন, ‘‘দোষ প্রমাণের আগে তাঁকে দোষী বলা যাবে না। তবে অভিযুক্ত বলা যেতে পারে।’’ মুখ্যমন্ত্রী এই দাবি মানেননি। তিনি জানিয়ে দেন, ‘অভিযুক্ত’ বলা যাবে না।
‘স্বাস্থ্যসচিবের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযোগ রয়েছে’
আন্দোলনকারী বলেন, ‘‘স্বাস্থ্যসচিবের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযোগ রয়েছে। আপনি প্রমাণ চেয়েছেন। স্যরের হাত দিয়ে বেশ কিছু চিঠি বেরিয়েছে।’’ মমতা বলেন, ‘‘একটা মানুষ অভিযুক্ত কি না, প্রমাণ না পেলে তাঁকে অভিযুক্ত করা যায় না।’’
‘যৌন হেনস্থা’-র অভিযোগ
অনিকেত মেডিক্যাল কলেজে যৌন হেনস্থার অভিযোগের কথা জানালেন। বললেন, ‘‘আরজি করের মতো দ্বিতীয় ঘটনা যাতে না হয়, তা দেখা হোক। মেয়েদের নিরাপত্তার জায়গাটা দেখা হোক।’’ তাঁর দাবি, ‘থ্রেট কালচার’-এর পাশাপাশি যৌন হেনস্থাও চলে।
মুখ্যমন্ত্রীর মতামত
১৪ অগস্ট রাতে আরজি কর হাসপাতালে ভাঙচুড়ের অভিযোগে ধৃতদের জামিন দেওয়া হয়েছে। সেই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মতামত জানতে চাইলেন আন্দোলনকারী চিকিৎসক কিঞ্জল নন্দ। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘এটা নতুন দাবি’’। চিকিৎসকেরা জানান, এটা তাঁদের দাবি নয়। মতামত জানতে চাইছেন তাঁরা।
‘থ্রেট কালচার’
বৈঠকে দেবাশিসের মুখে উঠল ‘থ্রেট কালচার’-এর প্রসঙ্গ। এই প্রসঙ্গে বিরুপাক্ষ এবং অভীকের নাম নিতেই থামিয়ে দিলেন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘উপস্থিত নেই যখন, নাম নেবেন না। নাম নিলে তো তাঁকেও তাঁর কথা বলার জায়গা দিতে হয়। ’’
‘অন্তবর্তী ব্যবস্থা’
দেবাশিস বলেন, ‘‘নির্বাচন যত দিন না হচ্ছে, তত দিন অন্তর্বর্তী এক ব্যবস্থা চালু করা যেতে পারে।’’
বৈঠকে স্বাস্থ্যসচিব
নবান্নের বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমও। জুনিয়র ডাক্তারেরা যে ১০ দফা দাবিতে ‘আমরণ অনশন’ করছেন, তার মধ্যে অন্যতম হল নিগমের অপসারণ। সোমবারের বৈঠকে তিনি উপস্থিত। আন্দোলনকারীদের কি বার্তা দিতে চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী?
স্টেট টাস্ক ফোর্সে চিকিৎসকদের সংখ্যা বৃদ্ধি
স্টেট টাস্ক ফোর্সে চিকিৎসকদের সংখ্যা বৃদ্ধির আর্জি জানালেন আন্দোলনকারী চিকিৎসক দেবাশিস। তিনি কমিটিতে জুনিয়র ডাক্তারদের রাখার দাবি তুলেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘কমিটি সিলেক্টেড নয়, ইলেক্টেড হতে হবে।’’
‘আরজি কর-কাণ্ড প্রতিষ্ঠানিক ব্যর্থতার কারণে’
দেবাশিস বলেন, আরজি কর-কাণ্ড হয়েছে প্রতিষ্ঠানিক ব্যর্থতার কারণে।
নাইয়ার বক্তব্য
বৈঠকে ‘দেরিতে আসা’ নিয়ে কথা বলেন আন্দোলনকারী চিকিৎসক আসফাকুল্লা নাইয়া। তিনি জানান, এর আগে প্রতি বারই বৈঠকের আগে কম সময় পান আন্দোলনকারীরা। সে কারণে নিজেদের মধ্যে জিবি করে বৈঠকে আসতে দেরি হয়ে গিয়েছিল।