kolkata municipal corporation

পুর ভাঁড়ারে লাইসেন্স ফি-ই আলো দেখাচ্ছে

চলতি বছরে ওই দুই মাসে সেই অঙ্ক বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ কোটি ৯৩ লক্ষ ৬২ হাজার টাকা।

Advertisement

মেহবুব কাদের চৌধুরী

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ জুন ২০২১ ০৬:১০
Share:

প্রতীকী ছবি।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিভিন্ন খাতে কলকাতা পুরসভার কর রাজস্ব আদায় কমেছে অনেকটাই। সেখানে পুর কোষাগারের মুখ রক্ষা করেছে লাইসেন্স বিভাগ। গত বছর লকডাউন শুরু হওয়ার পরে এপ্রিল-মে মাসে লাইসেন্স ফি বাবদ আদায় হয়েছিল ২ কোটি ৩৩ লক্ষ ৫৯ হাজার টাকা। চলতি বছরে ওই দুই মাসে সেই অঙ্ক বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ কোটি ৯৩ লক্ষ ৬২ হাজার টাকা।

Advertisement

পুরসভা সূত্রের খবর, গত অক্টোবর থেকে চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ওয়েভার বাবদ সম্পত্তিকর আদায় হয়েছিল ৫৩০ কোটি টাকা। এপ্রিল-মে মাসে আদায় হয়েছে মাত্র পাঁচ কোটি। অন্যান্য বিভাগেও কমেছে কর আদায়।

এমন পরিস্থিতিতে লাইসেন্স ফি-র ক্ষেত্রে আশাব্যঞ্জক ছবির কারণ কী? পুরকর্তাদের একাংশ মনে করছেন, দফতরের কর্মীদের নিরলস পরিশ্রম এবং করদাতাদের কাছে পৌঁছে যাওয়ার কারণেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব হয়েছে। পুরসভা সূত্রের খবর, লাইসেন্স ফি আদায় বাড়াতে বিভাগের কর্মী ও আধিকারিকরা চল্লিশটি দলে ভাগ হয়ে শহরের ১৪৪টি ওয়ার্ডের দোকানদার ও ব্যবসায়ীদের কাছে পৌঁছে গিয়েছিলেন। অনলাইনে কী ভাবে বকেয়া লাইসেন্স ফি মেটানো যাবে, তা ব্যবসায়ীদের হাতেকলমে শিখিয়েছিলেন তাঁরা।

Advertisement

গত বছর করোনার প্রকোপ বাড়তে থাকায় পুর কোষাগারের হাল ছিল সঙ্গিন। এমনকি, বেতন দিতে রাজ্য সরকারের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কর্তৃপক্ষ। ডিসেম্বর থেকে করোনার প্রকোপ কমতে শুরু করায় কর আদায় বাড়ছিল। কিন্তু চলতি বছরের মার্চের পরে দ্বিতীয় ঢেউ আসায় সেই আদায় মুখ থুবড়ে পড়ে। এই কঠিন সময়েও দিশা দেখিয়েছে পুরসভার লাইসেন্স দফতর। দফতরের এক পদস্থ কর্তার কথায়, ‘‘মে মাসে কড়া বিধিনিষেধ শুরু হওয়ার পরেও কর্মীরা নিয়মিত ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন। অনলাইনে কী ভাবে ফি জমা দেওয়া যাবে, তা ভিডিয়ো-কল মারফত বোঝানো হয়েছে তাঁদের। ফলে আদায়ও বেড়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement