সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনে অচেনা শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়। মঙ্গলবার। ছবি: স্বাতী চক্রবর্তী
কেন্দ্রীয় সরকারের নয়া কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে মঙ্গলবার দেশ জুড়ে ডাকা বন্ধের দিন কলকাতার রাস্তায় বাস চলল নামমাত্র। হাতে গোনা কিছু সরকারি ও বেসরকারি বাস পথে নামলেও এ দিন প্রায় ফাঁকাই ছিল পথঘাট। মেট্রোতেও যাত্রী-সংখ্যা ছিল অন্যান্য দিনের তুলনায় বেশ কম।
গণপরিবহণ সচল রাখতে পরিবহণ দফতরের তরফে সোমবার বাসমালিকদের কাছে আবেদন জানানো হলেও এ দিন বাস্তবে ঠিক তার উল্টো ছবিটাই ধরা পড়েছে। যাত্রীর অভাবে রাস্তায় বেসরকারি বাস-মিনিবাস প্রায় ছিল না বললেই চলে। সকাল থেকে শহরের নানা প্রান্তে অবরোধ শুরু হতেই যে ক’টি বাস চলছিল, সেগুলিও উধাও হয়ে যায়। সকালের দিকে অল্প সংখ্যক সরকারি বাস রাস্তায় নামলেও যাত্রী প্রায় ছিলই না। বেসরকারি বাস-মিনিবাসের হালও ছিল একই রকম। সাধারণ ট্যাক্সি এবং অ্যাপ-ক্যাবও খুব অল্প সংখ্যায় চোখে পড়েছে।
সকালের দিকে ভবানীপুরে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করেন কংগ্রেস সমর্থকেরা। অবরোধ-বিক্ষোভের জেরে ওই এলাকায় বাসের সংখ্যা খুব কমে যায়। এ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে ‘সিটি সাবার্বান বাস সার্ভিস’-এর টিটু সাহা বলেন, ‘‘রাস্তায় যাত্রী নেই। বাসমালিকদের পক্ষে চড়া দামে ডিজ়েল কিনে খালি বাস চালানো সম্ভব নয়।’’ একই ভাবে ‘বাস-মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর যুগ্ম সম্পাদক প্রদীপনারায়ণ বসু বলেন, ‘‘বিভিন্ন জায়গায় অবরোধ-বিক্ষোভ চলায় মালিকেরা বাস চালানোর ঝুঁকি নেননি।’’
আরও পড়ুন: রাজ্যে জুড়ে কুয়াশার দাপট চলবে, কমবে দৃশ্যমানতা, তাপমাত্রার বিশেষ তারতাম্য হবে না
দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণের বিভিন্ন বাসে এ দিন যাত্রী-সংখ্যা ছিল খুব কম। বর্ধমান, হুগলি এবং পূর্ব মেদিনীপুরের কয়েকটি জায়গায় জাতীয় সড়ক অবরোধ হওয়ায় এসপ্লানেড এবং করুণাময়ী থেকে অনেক বাস দেরিতে ছাড়ে। সকাল থেকে দূরপাল্লার বিভিন্ন রুটে বাস ছাড়লেও অন্যান্য দিনের তুলনায় যাত্রী কম থাকায় একাধিক ট্রিপ বাতিল করতে হয়। রাজ্য পরিবহণ নিগমের আধিকারিকদের অবশ্য দাবি, এ দিন সপ্তাহের অন্যান্য কাজের দিনের মতোই বাস চালানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনার প্রকোপে অনিশ্চয়তার মেঘ বই-পার্বণেও