প্রতীকী ছবি।
পুরভোটে ‘বহিরাগতদের’ দাপাদাপি আদৌ আটকানো যাবে তো? আপাতত এই আশঙ্কাই চিন্তায় রেখেছে লালবাজারের পুলিশকর্তাদের। বহিরাগতদের রুখতে পারলেই যে ভোট অনেকাংশে সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব, সে ব্যাপারে নিশ্চিত তাঁরা। তাই বহিরাগতদের প্রবেশ আটকাতে হোটেল ও অতিথিশালাগুলিতে নজর রাখছে পুলিশ।
পুলিশের অভিজ্ঞতা বলছে, অতীতের বেশ কয়েকটি নির্বাচনে শহরে গোলমাল পাকানোর মূলে ছিল এই বহিরাগতেরা।
এ বারের পুরভোটেও যে তাদের দাপাদাপি দেখা যাবে না, তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তাই শহরে এসে ঘাঁটি গেড়ে বসে থাকা বহিরাগতদের আটকাতে প্রতিটি ডিভিশনকেই সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছিলেন লালবাজারের কর্তারা। সেই মতো শুক্র ও শনিবার শহরের একাধিক হোটেল ও গেস্ট হাউসে গিয়ে অতিথিদের সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজখবর নেওয়া হয়। এমনকি, আজ, রবিবার কোনও অতিথি হোটেলে আসছেন কি না, রেজিস্টার দেখে তা-ও জানার চেষ্টা করে পুলিশ। নিউ মার্কেট, পার্ক স্ট্রিট, বেহালা, আলিপুর ও উল্টোডাঙা-সহ শহরের বিভিন্ন এলাকার একাধিক হোটেল ও অতিথিশালায় হানা দিয়েছিল পুলিশ।
শহরের বিভিন্ন প্রবেশপথেও অতিরিক্ত বাহিনী রেখে নাকা-তল্লাশি চালানো হচ্ছে। শুক্র ও শনিবার সেই তল্লাশি কয়েক গুণ বাড়ানো হয়। উল্টোডাঙা, চিংড়িঘাটা, হাওড়া সেতু, বিদ্যাসাগর সেতু এবং বেহালার দিকের একাধিক রাস্তায় বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়। কলকাতা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘সুষ্ঠু ভাবে ভোট করানোর বিষয়টিকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ হিসাবেই দেখা হচ্ছে। আর বহিরাগতদের আটকাতে পারলেই তা অনেকাংশে সফল হবে।’’