লালবাজার। —ফাইল চিত্র।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার খেয়াদহ ব্লককে নিজেদের এলাকায় আনতে চাইছে কলকাতা পুলিশ। বর্তমানে ওই এলাকা রয়েছে বারুইপুর পুলিশ জেলার নরেন্দ্রপুর থানার অধীনে। লালবাজারের তরফে অন্তর্ভুক্তির এই প্রস্তাব ভাঙড়ের আগেই পাঠানো হয়েছিল।
লালবাজার জানাচ্ছে, কলকাতা পুলিশের আনন্দপুর, প্রগতি ময়দান এবং কেএলসি থানা সংলগ্ন ওই অংশ নিজেদের এলাকায় আনতে চেয়ে গত বছরের পাঠানো প্রস্তাব এত দিন ঠান্ডা ঘরে ছিল। ভাঙড়ের অধিগ্রহণের সঙ্গেই এ নিয়ে তৎপরতা শুরু হয়েছে।
ঠিক হয়েছে, ভাঙড়ের প্রায় ২৭৪ বর্গ কিলোমিটার এলাকার দায়িত্ব যাবে ন’টি থানার হাতে। এর জন্য নতুন ছ’টি থানার প্রস্তাব পাঠিয়েছিল কলকাতা পুলিশ। রাজ্য মন্ত্রিসভা তাতে অনুমোদন দিয়েছে বলে খবর। ভাঙড়ে দু’টি ট্র্যাফিক গার্ড করার প্রস্তাবও গিয়েছিল। তা এখনও মঞ্জুর হয়নি বলে লালবাজার সূত্রের দাবি।
ভাঙড় এলাকার মূল রাস্তা বাসন্তী হাইওয়ে কলকাতা ও সুন্দরবনের প্রধান যোগাযোগকারী পথ। যার প্রায় ১৬ কিলোমিটার বর্তমানে তিলজলা ট্র্যাফিক গার্ডের অধীন। ভাঙড় এবং কাশীপুর থানা কলকাতা পুলিশের অধীনে এলে বাসন্তী হাইওয়ের প্রায় ১১ কিমি অংশের যান নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব পাবে লালবাজার।
এ ছাড়াও লাউহাটি-ভাঙড় রোড, ভোজেরহাট-পাকাপোল রোড, ভাঙড়-ক্যানিং রোড, সোনারপুর-ভাঙড় রোড, ঘটকপুকুরের যান নিয়ন্ত্রণও সামলাতে হবে লালবাজারকে। ওই এলাকার ছোট-বড় বিভিন্ন রাস্তা এবং গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলির সংযোগস্থলের তালিকা বানাতে বৈঠক করেছেন লালবাজারের কর্তারা।