ডেঙ্গি সচেতনতায় পথে নামছে পুলিশও

গত সপ্তাহ থেকে প্রতিটি থানার তরফে রাস্তায় নেমে ওই সচেতনতামূলক প্রচার অভিযান শুরু করা হয়েছে। প্রতিদিন থানার তরফে নিজের নিজের এলাকায় গাড়িতে মাইক লাগিয়ে পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য প্রচার করা হচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০১৯ ০২:০৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

কয়েক বছর ধরেই ডেঙ্গির প্রকোপে কাবু হচ্ছে কলকাতার বিভিন্ন এলাকা। বর্ষা শুরু হওয়ার পরেই ওই প্রকোপ বাড়ে। এ বার ডেঙ্গি বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে প্রতিটি থানাকে নির্দেশ দিয়েছে লালবাজার।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, গত সপ্তাহ থেকে প্রতিটি থানার তরফে রাস্তায় নেমে ওই সচেতনতামূলক প্রচার অভিযান শুরু করা হয়েছে। প্রতিদিন থানার তরফে নিজের নিজের এলাকায় গাড়িতে মাইক লাগিয়ে পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য প্রচার করা হচ্ছে। একই সঙ্গে থানা আধিকারিকের ঠিক করে দেওয়া জায়গায় ডেঙ্গি নিয়ে সচেতন করা হচ্ছে সাধারণ নাগরিকদের। মূলত যে সব এলাকায় ডেঙ্গির ইতিহাস রয়েছে, সেই সব জায়গাকে বেছে নেওয়া হচ্ছে প্রচার চালানোর জন্য। কী ব্যবস্থা নিলে ডেঙ্গির মশা জন্মাবে না, তা বাসিন্দাদের সঙ্গে বৈঠক করে বলা হচ্ছে। এ ছাড়া পুলিশকর্মীরা ট্যাবলো নিয়েও ডেঙ্গির প্রতিরোধে ওই প্রচার চালাবেন বলে লালবাজার জানিয়েছে।

চলতি মরসুমে বৃষ্টির ঘাটতি রয়েছে। তবে আবহাওয়াবিদদের আশা, চলতি সপ্তাহ থেকেই বৃষ্টি বেশি হবে শহরে। আর প্রতিবার বর্ষা শুরু হলেই শহরের বিভিন্ন জায়গায় ডেঙ্গির জীবাণুবাহী মশা এডিস ইজিপ্টাইয়ের প্রাদুর্ভাব হয়। তাই এ বার যাতে জল জমে ওই মশার লার্ভা জন্মাতে না পারে, তার জন্য লালবাজার সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে ওই কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বলে সূত্রের খবর।

Advertisement

এক পুলিশকর্তা বলেন, ‘‘ডেঙ্গি ঠেকাতে সতর্কতা বেশি জরুরি। প্রথমেই বাসিন্দাদের বোঝাচ্ছি, কোনও পরিত্যক্ত জায়গা বা পরিত্যক্ত টায়ার, প্লাস্টিকের কাপ, চা বা দইয়ের ভাঁড়, ডাবের খোলায় যাতে বৃষ্টির জল জমতে না পারে সে দিকে নজর দিতে। ডেঙ্গি থেকে বাঁচার জন্য বাড়ির আশপাশ নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে বলা হচ্ছে। না হলে সেখানে ডেঙ্গির মশা ডিম পাড়তে পারে।’’

পুলিশের একাংশ জানিয়েছে, দক্ষিণ কলকাতা ও দক্ষিণ-পূর্ব শহরতলির বিভিন্ন এলাকায় ডেঙ্গির প্রভাব সব সময়ে বেশি থাকে। সেখানকার থানাগুলিকে নিজেদের ব্যারাক, থানা চত্বর সবই পরিষ্কার রাখতে বলেছে লালবাজার। তবে স্থানীয় ক্লাব ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলিকেও এই প্রচারের কাজে লাগানো হচ্ছে। তাদের মাধ্যমে আরও বেশি করে সমাজের সব স্তরে ওই সচেতনতার কথা পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement