Lalbazar

মহিলাকে ‘কুপ্রস্তাব’, সাসপেন্ড পুলিশকর্মী

হরিদেবপুর থানার এই ঘটনায় ঘিরে নানা মহলে প্রশ্ন উঠছে। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে অনেকেই বিদ্বেষমূলক মতামত জানিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০২২ ০৭:০৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

কখনও ‘গাঁজা কেসে’ ফাঁসিয়ে জেল খাটানোর ভয় দেখানো, কখনও তুলে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে মারার অভিযোগ। কখনও উদ্ধার হওয়া টাকার অংশ আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেফতার, কখনও ডাকাতিতে ধরা পড়ে হাজতবাস করতে হয়েছে পুলিশকে। আন্দোলনকারীকে কামড়ে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে সম্প্রতি। এ বার সেই পুলিশের বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ জানাতে থানায় যাওয়া এক মহিলাকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠল! এই ঘটনায় অভিযুক্ত ওই পুলিশকর্মীকে ইতিমধ্যেই সাসপেন্ড করেছে লালবাজার।

Advertisement

হরিদেবপুর থানার এই ঘটনায় ঘিরে নানা মহলে প্রশ্ন উঠছে। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে অনেকেই বিদ্বেষমূলক মতামত জানিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। চাপে পড়ে ইতিমধ্যেই ব্যবস্থা নিয়েছে লালবাজার। তারা জানিয়েছে, অভিযুক্ত পুলিশকর্মী অর্থাৎ হরিদেবপুর থানার সাব-ইনস্পেক্টর আইনুল হককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তদন্ত শেষ হওয়া পর্যন্ত তিনি সাসপেন্ড থাকবেন। শুরু হয়েছে বিভাগীয় তদন্তও। দোষী প্রমাণিত হলে কড়া আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানানো হয়েছে।

পুলিশ সূত্রের খবর, সম্প্রতি হরিদেবপুর থানায় গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ জানাতে যান এক মহিলা। সেই সময়ে ডিউটি অফিসার হিসাবে থানায় ছিলেন আইনুল। অভিযোগ পেয়ে তদন্তের স্বার্থে ওই মহিলার নাম-ঠিকানা, ফোন নম্বর লিখে নেন তিনি। এর পরে গত সোমবার ওই মহিলার বাড়ি যান আইনুল।অভিযোগ, সেখানেই আইনি সাহায্যের বদলে তাঁকে কুপ্রস্তাব দেন ওই এসআই। এর পরে আইনুল বেরিয়ে যেতেই কলকাতা পুলিশের ১০০ নম্বরে ফোন করে বিষয়টি জানান ওই মহিলা। লালবাজার থেকে খবর যায় থানায়। এর পরেই দ্রুত তদন্তে নামে পুলিশ।

Advertisement

বুধবার ওই থানায় গিয়ে দেখা যায়, সেখানে পরিস্থিতি থমথমে। এ বিষয়ে মন্তব্য করতে চাননি কোনও পুলিশকর্মীই। কিন্তু পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, প্রাথমিক ভাবে দেখা গিয়েছে, ওই এসআই নিয়ম না মেনেই মহিলার বাড়ি গিয়েছিলেন। কাজের ধরনে ভুল রয়েছে বলেই তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। মহিলার অভিযোগে ওই পুলিশ অফিসারের ব্যবহার ঠিক ছিল না— এটুকু বলা হয়েছে। কিন্তু তিনি কী করেছেন বা কী বলেছেন, তা স্পষ্ট করে বলা হয়নি। সেই কারণেই বিভাগীয় তদন্ত শুরু করা হয়েছে। অভিযুক্ত এসআইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। একই ভাবে কিছু বলতে চাননি অভিযোগকারিণীও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement