—প্রতীকী চিত্র।
বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশকর্মীদের বচসা কোনও নতুন ঘটনা নয়। বিশেষত, নির্বাচনের আগে মিছিল-সমাবেশ করা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে পুলিশের বিবাদ কিঞ্চিৎ বেশি মাত্রায় হয়ে থাকে। তাই এ বার এমন পরিস্থিতিতে ঠিক কী ঘটেছে, তা রেকর্ড করে রাখতে ৭০০টি দেহ (বডি) ক্যামেরা কিনতে চলেছে লালবাজার। যা নির্বাচনের আগে বাহিনীর হাতে চলে আসার কথা। কার্যত ভোটের আগেই ওই ক্যামেরা পুলিশকর্মীদের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে লালবাজার। উল্লেখ্য, কলকাতা পুলিশ এলাকায় শেষ দফায় পয়লা জুন ভোট হওয়ার কথা।
লালবাজার সূত্রের খবর, ওই ক্যামেরা কিনতে খরচ পড়বে প্রায় ৮৪ লক্ষ টাকা। এই সংক্রান্ত দরপত্রের কাজ ইতিমধ্যেই সম্পূর্ণ। যে কোনও দিন কলকাতা পুলিশের হাতে ওই ক্যামেরা চলে আসার কথা। বর্তমানে প্রতিটি থানার হাতে দুই থেকে তিনটি করে দেহ ক্যামেরা রয়েছে, যা ডিউটি অফিসার বা তল্লাশি চালানোর সময়ে থানার আধিকারিকেরা ব্যবহার করে থাকেন। নতুন দেহ ক্যামেরাগুলি চলে এলে তা ভাঙড়-সহ কলকাতা পুলিশের ১০টি ডিভিশনের থানার মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে, যাতে কর্তব্যরত অবস্থায় থানার প্রত্যেক আধিকারিক তা ব্যবহার করতে পারেন। এর ফলে কোনও পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ উঠলে পুলিশকর্তারা ওই ক্যামেরার ভিডিয়ো ফুটেজ দেখেই জানতে পারবেন, ঠিক কী ঘটেছিল। এই ক্যামেরায় রেকর্ড করা ভিডিয়ো ফুটেজ সংরক্ষণ করে রাখার নিয়মও রয়েছে। লালবাজার সূত্রের খবর, বর্তমানে পুলিশকর্মীরা যে দেহ ক্যামেরাগুলি ব্যবহার করেন, তার থেকে নতুন ক্যামেরার লেন্স আরও বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন হবে। এতে রাতে কম আলোতেও স্পষ্ট ভাবে রেকর্ডিং করা যাবে। এ ছাড়া, সব কোণ থেকেই ওই ক্যামেরায় রেকর্ডিং করা যাবে।
এক পুলিশকর্তা জানান, বর্তমানে কলকাতা পুলিশের ট্র্যাফিক গার্ডের সার্জেন্ট থেকে কনস্টেবল— সকলেই দেহ ক্যামেরা ব্যবহার করেন। বর্তমানে ট্র্যাফিক পুলিশকর্মীদের ক্ষেত্রে এমন ক্যামেরার ব্যবহার বাধ্যতামূলক। তাঁরা বুকে ওই ক্যামেরা লাগিয়ে ডিউটি করেন। এর ফলে রাস্তায় কর্তব্যরত ওই পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ উঠলে তার মীমাংসা যেমন সহজে করা যাচ্ছে, তেমনই তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগও কম উঠছে।