Pandal

মণ্ডপের সামনে ভিড় ঠেকাতে সক্রিয় লালবাজার

পুলিশ সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাত থেকেই এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। হাইকোর্টের রায়ের প্রতিলিপি দিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রতিটি পুজো কমিটিকে।

Advertisement

শিবাজী দে সরকার

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০২০ ০১:১১
Share:

ছবি পিটিআই।

রাজ্যের সব পুজো দর্শকশূন্য করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। বলা হয়েছে, সব পুজোমণ্ডপকে কন্টেনমেন্ট জ়োন ঘোষণা করে তার সামনে ‘নো এন্ট্রি’ বোর্ড বসাতে হবে। সেই মতো শহরের ছোট-বড় মণ্ডপগুলি নো এন্ট্রি করে সেগুলির সামনে ভিড় ঠেকাতে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করল লালবাজার।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাত থেকেই এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। হাইকোর্টের রায়ের প্রতিলিপি দিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রতিটি পুজো কমিটিকে। প্রতিটি থানা এলাকার ছোট পুজোমণ্ডপগুলির সামনে কী পরিস্থিতি রয়েছে, সেখানে অতিরিক্ত বাহিনীর দরকার আছে কি না— তা জানতে চাওয়া হয়েছিল লালবাজারের তরফে। সূত্রের খবর, থানাগুলি মঙ্গলবার রাতেই তা জানিয়ে দিয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশ যাতে ঠিকমতো পালন করা হয়, বুধবার কলকাতা পুলিশের আধিকারিকদের সেই নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা।

পুজো উদ্যোক্তাদের মঞ্চ ‘ফোরাম ফর দুর্গোৎসব’-এর রিভিউ পিটিশন বুধবার আদালতে বাতিল হওয়ার পরে লালবাজারের এক কর্তা জানান, কলকাতা পুলিশের প্রতিটি ডিভিশনের ডিসিদের ছোট পুজোমণ্ডপের বিষয়টি দেখার জন্য বলা হয়েছে। ডিভিশনে থাকা অতিরিক্ত বাহিনীকে যাতে দরকারে সেখানে মোতায়েন করা যায়, তার জন্য বলা হয়েছে তাঁদের।

Advertisement

আরও পড়ুন: যাত্রী নেই, কমে যাচ্ছে লন্ডনের উড়ান

লালবাজার জানিয়েছে, কলকাতা পুলিশ এলাকায় মোট পুজোর সংখ্যা আড়াই হাজারেরও বেশি। তার মধ্যে বড় পুজোগুলির জন্য বিশেষ পুলিশি ব্যবস্থা রাখা হয়। কিন্তু পাড়ার ছোট পুজোয় সে ভাবে পুলিশি নজরদারি থাকে না। আদালতের সাম্প্রতিক নির্দেশের পরে ছোট মণ্ডপগুলিতেও পুলিশি নজরদারির প্রয়োজন আছে বলে মনে করা হচ্ছে। তাই সেখানে বাহিনী মোতায়েন করার তোড়জোড় শুরু হয়েছে।

যদিও সব ছোট মণ্ডপে পুলিশ দেওয়া সম্ভব কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। জানা গিয়েছে, ছোট মণ্ডপগুলিতে অন্তত পুজো কমিটির স্বেচ্ছাসেবক অথবা সিভিক ভলান্টিয়ারদের রাখা হতে পারে।

আরও পড়ুন: ভাসানের দূষণ এড়াতে পর্ষদের নিদান

পুলিশের একটি অংশ জানাচ্ছে, দক্ষিণ শহরতলির বেহালা ও যাদবপুর ডিভিশনে ছোট-বড় মিলিয়ে এক হাজারেরও বেশি পুজো হয়। ফলে সেখানে সব মণ্ডপে বাহিনী দেওয়া সম্ভব না-ও হতে পারে। কলকাতা পুলিশের এক কর্তা জানান, ‘নো এন্ট্রি’ জ়োনের বাইরে ভিড় হলে কী হবে সেটাই এখন প্রধান চিন্তা। মধ্য কলকাতার একটি বড় পুজোর সামনে কর্তব্যরত এক পুলিশ অফিসারের কথায়, ‘‘কোনও ভাবেই এক জায়গায় ভিড় হতে দেওয়া যাবে না। তাই কাউকে দাঁড়াতে দিচ্ছি না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement