ফাইল চিত্র।
নীল রঙের ছাউনি। চাইনিজ রিকশা। সেই সঙ্গে রিকশা চালকের টি-শার্টে একটি প্রচলিত ছাপ। সিসিটিভি থেকে মেলা ওই তিনটি সূত্র ধরেই কড়েয়া এলাকার একটি মন্দিরে চুরির কিনারা করলেন লালবাজারের গোয়েন্দারা।
পুলিশ জানিয়েছে, চুরিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে ওই রিকশাচালক ও তার এক সঙ্গীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত রিকশাচালকের নাম সিকান্দর। বাড়ি সামসুল হুদা রোডে। তার সঙ্গীর নাম শেখ রাজা। তার বাড়ি তপসিয়ার ময়লা ডিপো এলাকায়। সে ধর্মতলায় একটি দোকানে কাজ করে। ধৃতদের জেরা করে সোনারপুর থেকে চুরি যাওয়া অধিকাংশ মালপত্রই উদ্ধার করেছে লালবাজারের চুরি দমন শাখা। ধৃতদের মঙ্গলবার আদালতে তোলা হলে দু’জনেরই ৫ অগস্ট পর্যন্ত পুলিশি হেফাজত হয়েছে।
লালবাজার জানায়, শনিবার রাতে কড়েয়া থানা এলাকার বামনপাড়া লেনের একটি মন্দির থেকে চুরি হয় প্রণামীর বাক্স। তাতে লক্ষাধিক টাকা ছিল। মন্দিরের সোনার গয়নারও খোঁজ মিলছিল না। তদন্তের দায়িত্ব পড়ে চুরি দমন শাখার উপরে। গোয়েন্দারা ওই এলাকার সব সিসি ক্যামেরা থেকে ঘটনার রাতের ফুটেজ খতিয়ে দেখেন। সেই ফুটেজেই তাঁরা দেখতে পান, রাত সওয়া দু’টো নাগাদ একটি রিকশা ওই এলাকা দিয়ে যাচ্ছে। রিকশাচালক ছাড়া পিছনে এক জন একটি বড় বাক্স নিয়ে বসে রয়েছে। সন্দেহ হওয়ায় ছবিটি ভাল ভাবে খুঁটিয়ে দেখে গোয়েন্দারা নিশ্চিত হন, চুরি করা প্রণামীর বাক্স নিয়েই পার্ক সার্কাসের দিকে গিয়েছে রিকশাটি। ফুটেজে গোয়েন্দারা লক্ষ করেন, চাইনিজ মডেলের ওই রিকশার ছাউনি নীল রঙের। রিকশাচালকের টি-শার্টে বড় একটি ছাপ রয়েছে।
এক তদন্তককারী জানান, এর পরেই পার্ক সার্কাস এলাকায় গোয়েন্দারা ছড়িয়ে পড়েন। প্রথমেই তাঁরা ওই টি-শার্ট পরা রিকশাচালক সিকান্দরের খোঁজ পান। জেরায় সে চুরির কথা স্বীকার করে নেয়। পরে খোঁজ মেলে রাজার। আটক হয় রিকশাটিও।
লালবাজার জানিয়েছে, চুরির পরে ট্রেন ধরে সিকান্দর চুরির জিনিস নিয়ে চলে যায় সোনারপুরে। সেখানে স্ত্রীর হেফাজতে ওই জিনিস রেখে ফিরে আসে পার্ক সার্কাসে। পুলিশ জানিয়েছে, রাজা ঘটনার সময়ে বাইরে পাহারায় ছিল। মন্দিরে ঢুকেছিল সিকান্দর।