ফাইল ছবি
অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়া বা কোনও ঘটনার তদন্ত করতে যাওয়া পুলিশ আধিকারিককে ‘বডি ক্যামেরা’ ব্যবহারের নির্দেশ দিল লালবাজার। বডি ক্যামেরা না থাকলে মোবাইল ক্যামেরার মাধ্যমে সেই কাজ করতে হবে। অর্থাৎ, অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় কী অবস্থায় দেহটি উদ্ধার করা হয়েছে বা তদন্ত চালানোর সময়ে কী কী হয়েছে, তার পুরোটাই বডি ক্যামেরায় বা মোবাইলে ধরে রাখতে হবে পুলিশ অফিসারদের। যাতে পরবর্তীকালে প্রয়োজন পড়লে সেই ফুটেজ খতিয়ে দেখা যায়।
পুলিশ সূত্রের খবর, গত সপ্তাহে পুলিশ কমিশনার থানার আধিকারিকদের নিয়ে এক বৈঠকে ওই নির্দেশ দেন। মূলত তদন্ত নিয়ে বিতর্ক এড়াতে এবং অস্বাভাবিক মৃত্যুর ক্ষেত্রে দ্রুত দেহ ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য ওই ক্যামেরা ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ জন্য থানাগুলিকে পর্যাপ্ত বডি ক্যামেরা সরবরাহ করা হবে। বর্তমানে প্রতিটি থানার কাছে একটি বা দু’টি করে বডি ক্যামেরা রয়েছে, যা ডিউটি অফিসার বা তল্লাশি চালানোর সময়ে থানার অফিসারেরা ব্যবহার করেন।
এর আগে কোনও অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় দ্রুত দেহ উদ্ধারের নির্দেশ দিয়েছিল লালবাজার। তা করতে গিয়ে যাতে পদ্ধতিগত কোনও ত্রুটি না থাকে বা তদন্তের ক্ষেত্রে যাতে কোনও বাধা সৃষ্টি না হয়, তা-ই বডি ক্যামেরায় বা মোবাইলে ছবি তুলে রাখতে বলা হয়েছে।
বর্তমানে ট্র্যাফিক পুলিশের কর্মী থেকে অফিসার, সকলের ক্ষেত্রেই বডি ক্যামেরার ব্যবহার বাধ্যতামূলক। বুকের সামনে ওই ক্যামেরা লাগিয়ে ডিউটি করেন সার্জেন্ট ও ট্র্যাফিক পুলিশকর্মীরা। লালবাজার সূত্রের খবর, বছর পাঁচেক আগে থেকেই ট্র্যাফিক পুলিশে বডি ক্যামেরার ব্যবহার চালু হয়েছে। এর ফলে ট্র্যাফিক পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে কোনও দুর্ব্যবহারের অভিযোগ উঠলেই দ্রুত ভিডিয়ো ফুটেজ দেখে তার নিষ্পত্তি করা সম্ভব হয়। এ ছাড়া ওই ক্যামেরা ব্যবহারের ফলে ট্র্যাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের পরিমাণও অনেকটাই কমেছে বলে সূত্রের দাবি।
সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে পুলিশকর্তারা এলাকার কোথায় কোথায় সিসি ক্যামেরা লাগানো রয়েছে, থানার ওসিদের সেই অবস্থান জেনে রাখতে বলেছেন। যাতে প্রয়োজনে দ্রুত সেই ক্যামেরার ছবি খতিয়ে দেখা হয়। এক পুলিশকর্তার কথায়, ‘‘কোথায় সিসি ক্যামেরা রয়েছে, তা জানা থাকলে তদন্তে দ্রুত সেই ছবি দেখার সুবিধাও হবে।’’