লালবাজার। —ফাইল চিত্র।
দুর্গাপুজোর বাকি আর প্রায় দু’মাস। এর মধ্যেই বড়-ছোট-মাঝারি পুজো কমিটিগুলি খুঁটিপুজো সেরে ফেলেছে। তাদের পুজোর প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে। পিছিয়ে নেই লালবাজারও। পুজোর সময়ে শহরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও যানশাসনের ক্ষেত্রে কী কী পদক্ষেপ করা হবে, তা নিয়ে পুলিশও নিজেদের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে।
পুজোর ভিড় সামলানোর জন্য কী কী ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন, থানাগুলিকে তা জানাতে নির্দেশ দিয়েছে লালবাজার। সম্প্রতি প্রতিটি থানায় পাঠানো একটি নির্দেশিকায় লালবাজারের তরফে বলা হয়েছে, পুজোর জন্য কোথায় কোথায় গার্ডরেল দিয়ে রাস্তা বন্ধ রাখতে হবে, কোথায় দর্শনার্থীদের যাতায়াতের পথে ড্রপ গেট রাখতে হবে, তার তালিকা তৈরি করে থানাগুলি যেন পাঠিয়ে দেয়। সেই সঙ্গে গত বারের থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজেদের এলাকার পুজোগুলির ভিড় সামলাতে কী ধরনের পরিকল্পনা করা প্রয়োজন, তা-ও জানাতে
বলা হয়েছে। চলতি মাসের মধ্যেই থানাগুলিকে নিজেদের এলাকার পুজো নিয়ে এই রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
এক পুলিশকর্তা জানান, এ বছর পুজো অক্টোবরের তৃতীয় সপ্তাহে। আশা করা যায়, বর্ষা তার আগেই বিদায় নেবে। তাই আবহাওয়া অনুকূল থাকলে পুজোয় ভিড় হবেই। সেই কারণে
দু’মাস আগে থেকেই ভিড় সামাল দিতে স্থানীয় স্তরে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন, তা জানতে চাওয়া হয়েছে থানাগুলির কাছে। সেই রিপোর্ট পেলেই এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ভাবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
পুলিশ সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই বিভিন্ন থানা নিজেদের এলাকার পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে কথা বলে সেই মতো প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। কোন পুজো কমিটি কী ধরনের থিম করছে, সে বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়ার কাজ শুরু করেছে থানাগুলিও। এর কারণ হিসাবে পুলিশের একাংশের বক্তব্য, ওই থিম শুনেই বোঝা যাবে, কোন পুজোয় কেমন ভিড় হতে চলেছে চলতি বছরে।
উল্লেখ্য, ২৫টি ট্র্যাফিক গার্ডের কাছে তাদের এলাকার রাস্তাঘাট, আলো সম্পর্কে কিছু দিন আগেই তথ্য জানতে চেয়েছিল লালবাজার। সূত্রের খবর, বৃষ্টিতে বিভিন্ন রাস্তার বেহাল অবস্থা হয়ে রয়েছে। সে সবের তালিকা তৈরি করে মেরামতির জন্য পুরসভার কাছে সুপারিশ করবে লালবাজার। ট্র্যাফিক পুলিশের এক কর্তা জানান, পুজোয় প্রস্তুতির জন্য প্রাথমিক যে সব কাজ, এখন তা-ই করা হচ্ছে।