মেয়র ফিরহাদ হাকিম। —ফাইল চিত্র।
কলকাতার রাস্তায় বেআইনি ভাবে নির্মাণ-বর্জ্য নিয়ে লরি চলাচল করা প্রসঙ্গে পুলিশকে মেয়র ফিরহাদ হাকিমের তিরস্কারের পরেই নড়ে বসল লালবাজার। শহরে কলকাতা পুরসভার গাড়ি কিংবা পুরসভা অনুমোদিত গাড়ি ছাড়া অন্য কোনও গাড়িতে নির্মাণ-বর্জ্য নিয়ে যেতে দেখলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ট্র্যাফিক গার্ডগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে লালবাজারের তরফে। একই সঙ্গে ওই সব লরির নির্মাণ-বর্জ্য যাতে রাজারহাটের পাথরঘাটায় পুরসভার ডাম্পিং গ্রাউন্ডে পাঠানো হয়, তার জন্যও বলা হয়েছে ট্র্যাফিক পুলিশকে। এর পাশাপাশি নির্মাণ-বর্জ্য নিয়ে যাওয়ার জন্য পুরসভার অনুমতি আছে কি না, তা-ও দেখতে বলা হয়েছে।
সোমবার মাঝেরহাট সেতুর উপরে নির্মাণ-বর্জ্য ভর্তি একটি লরি আটক করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি ১৬ নম্বর বরোর বৈঠকে যোগ দিতে ওই পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখনই তিনি হাতেনাতে ওই লরিটি আটক করে পুলিশকে তীব্র ভর্ৎসনা করেন। এমনকি, নগরপাল বিনীত গোয়েলকেও বিষয়টি জানাবেন বলে মেয়র জানিয়েছিলেন। এর পরেই লালবাজার ওই নির্দেশ জারি করল।
শহরের বেশ কিছু এলাকার বাসিন্দা এবং পুলিশের একাংশের অভিযোগ, নির্মাণ-বর্জ্য নিয়ে প্রতিদিন গড়িয়া, রিজেন্ট পার্ক, পূর্ব যাদবপুর, কসবা, হরিদেবপুর, পাটুলি, নেতাজিনগর, বাঁশদ্রোণী, বেহালা, মুকুন্দপুর, সরশুনা এলাকা দিয়ে লরি চলাচল করে। দিনের বেলায় ওই লরি চলাচল করলেও পুলিশ ব্যবস্থা নেয় না বলে অভিযোগ। যদিও পুলিশকর্তারা জানিয়েছেন, নির্মাণ-বর্জ্য বোঝাই লরি দেখা গেলেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
এ দিকে, ১৫ বছরের পুরনো লরিগুলির বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকি, অনেক ক্ষেত্রে ওই সব লরির নম্বর প্লেটও স্পষ্ট নয়। পুলিশ জানিয়েছে, ১৫ বছরের পুরনো গাড়ির বিরুদ্ধে শহরে নিয়মিত অভিযান চালানো হয়। এমনকি, গাড়ি বাজেয়াপ্তও করা হয়।