কলকাতা পুলিশের এএসআই। —ফাইল ছবি।
দুই পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করল লালবাজার। আরজি কর-কাণ্ডে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারকে সরকারি বাইক ব্যবহার করতে দেওয়ার অভিযোগে এএসআই (অ্যাসিসট্যান্ট সাব ইনস্পেক্টর) অনুপ দত্তের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করল কলকাতা পুলিশ। পাশাপাশি, একটি রাজনৈতিক দলকে কটাক্ষ করে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করার অভিযোগে পাটুলি থানার ওসি তীর্থঙ্কর দে-র বিরুদ্ধেও বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে।
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার তদন্তে নেমে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে সেই ঘটনার তদন্তভার এখন সিবিআইয়ের হাতে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা যায়, ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের ঘনিষ্ঠ ছিলেন অনুপ। ২০১৯ সালে ধৃত ব্যক্তি সিভিক ভলান্টিয়ারের কাজে যোগ দিয়েছিলেন। সিভিক ভলান্টিয়ার হিসাবে প্রথমে কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (ডিজ়াস্টার ম্যানেজমেন্ট গ্রুপ বা ডিএমজি)-তে যোগ দেন। তবে সেখানে অল্প কয়েক দিন কাজ করার পরেই তাঁকে পাঠানো হয় পুলিশের ওয়েলফেয়ার কমিটিতে। এএসআই অনুপও পুলিশ ওয়েলফেয়ার কমিটির সদস্য বলেই সূত্রের খবর। এক জন সিভিক ভলান্টিয়ার হয়েও অভিযুক্ত কী ভাবে পুলিশের ওয়েলফেয়ার কমিটিতে ছিলেন, তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। এ ছাড়াও সিভিক ভলান্টিয়ার হয়েও আরজি কর-কাণ্ডে ধৃত ব্যক্তি ‘কেপি’ (কলকাতা পুলিশ) লেখা বাইকে চেপে ঘুরে বেড়াতেন, উঠেছে সেই প্রশ্নও। অভিযুক্তের বাড়ির লোক, পড়শি থেকে শুরু করে তাঁর পরিচিতেরা, প্রত্যেকেই একই কথা জানিয়েছেন। এমনকি, এলাকায় তিনি ‘পুলিশ’ লেখা টিশার্ট পরেও দাপটে ঘুরে বেড়াতেন বলে অভিযোগ। ধৃতের প্রতিবেশীদের আরও অভিযোগ, এলাকায় সকলেই জানতেন ওই ব্যক্তি পুলিশে কাজ করেন। তবে ঠিক কোন পদে কর্মরত ছিলেন, তা জানতেন না কেউই। বাইকটি কলকাতার পুলিশ কমিশনারের নামেই নথিভুক্ত। আরজি কর-কাণ্ডে ধৃতকে সেই বাইক ব্যবহার করতে দেওয়ার অভিযোগে অনুপের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করল লালবাজার।
অন্য দিকে, বৃহস্পতিবারই একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলকে কটাক্ষ করে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেন পাটুলি থানার ওসি তীর্থঙ্কর। রাজনৈতিক পোস্ট করার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধেও বিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছে কলকাতা পুলিশ।