ধৃত ব্যক্তি কলকাতা পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপে কর্মরত। তাঁকে এ দিন আলিপুর আদালতে তোলা হলে ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। ওই ডাকাতির ঘটনায় এ নিয়ে মোট ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হল।
ডাকাতির ঘটনায় এ নিয়ে মোট ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রতীকী ছবি।
সিবিআই অফিসার সেজে ভবানীপুরে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে লুটপাটের ঘটনায় এক পুলিশ কনস্টেবলকে সোমবার ভোরে গ্রেফতার করেছেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। ধৃতের নাম দেবব্রত কর্মকার। তাঁর বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার বাসুদেবপুরে। ধৃত ব্যক্তি কলকাতা পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপে কর্মরত। তাঁকে এ দিন আলিপুর আদালতে তোলা হলে ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। ওই ডাকাতির ঘটনায় এ নিয়ে মোট ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হল।
লালবাজার জানিয়েছে, গত ১২ ডিসেম্বর ভবানীপুরের রূপচাঁদ মুখার্জি লেনের একটি আবাসনে বসবাসকারী ব্যবসায়ী সুরেশ ওয়াধাওয়ার ফ্ল্যাটে সিবিআই অফিসার সেজে হানা দিয়ে নগদ ৩০ লক্ষ টাকা এবং লক্ষাধিক টাকার গয়না লুট করা হয়েছে বলে অভিযোগ আসে। দুষ্কৃতীরা তিনটি গাড়িতে করে এসেছিল। ভবানীপুর থানা প্রথমে তদন্ত শুরু করলেও পরে তা লালবাজারের ডাকাতি দমন শাখার হাতে যায়। মূল অভিযুক্তদের জেরা করে পুলিশ জানতে পারে, ৩০ লক্ষেরও বেশি টাকা ডাকাতি করেছিল তারা। ডাকাতির মূল পান্ডা রাকেশের অ্যাকাউন্টে থাকা প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।
এক তদন্তকারী জানান, এই ঘটনার অন্যতম মূল চক্রী দেবব্রত। কারণ সে-ই কী ভাবে সিবিআই অফিসার সাজতে হবে, তার তালিম দিয়েছিল বাকিদের। পুলিশের অনুমান, দেবব্রত আরও অপরাধের সঙ্গে জড়িত। তাকে জেরা করে সে বিষয়ে জানার চেষ্টা করবেন তদন্তকারীরা।
প্রসঙ্গত, গত জুনে তালতলা থানা এলাকার মৌলালি থেকে দু’জন ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে কয়েক কোটি টাকা লুটপাটের ঘটনায় চার পুলিশকর্মী গ্রেফতার হয়েছিল। একবালপুরে একটি তোলাবাজির ঘটনাতেও গ্রেফতার হয়েছিল চার পুলিশকর্মী।