ফাইল চিত্র
পথ দুর্ঘটনা রুখতে গাড়ির নিরাপত্তায় একাধিক ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ। তবুও দুর্ঘটনার বিরাম নেই। দেখা গিয়েছে, এই সব দুর্ঘটনার বেশির ভাগই ঘটে থাকে বেপরোয়া ভাবে গাড়ি এবং মোটরবাইক চালানোর জন্য। তাই এমন গাড়ির চালককে ধরলে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে এ বার নির্দেশ দিল লালবাজার।
কী সেই ব্যবস্থা? নির্দিষ্ট গতির থেকে বেশি জোরে গাড়ি বা বাইক চালালেই চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স সাসপেন্ড করার নির্দেশ জারি করেছেন লালবাজারের ট্র্যাফিক কর্তারা। সেই সঙ্গে নির্দিষ্ট আইন অনুযায়ী ব্যবস্থাও নেওয়া হবে। এ ছাড়াও যত্রতত্র বাস দাঁড় করিয়ে যাত্রী তোলা নিয়েও কঠোর অবস্থান নেওয়া হচ্ছে। নির্দিষ্ট স্টপ ছাড়া অন্য জায়গা থেকে যাত্রী তুললে সেই বাসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেও বলা হয়েছে। যেখানে সেখানে বাস দাঁড় করিয়ে যাত্রী তোলায় যানজটের আশঙ্কা তৈরি হয়। তা কমাতেই এই ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ।
কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার শুক্রবার এক নির্দেশে ট্র্যাফিক গার্ডের ওসিদের বেপরোয়া গতি এবং বিপজ্জনক ভাবে গাড়ি চলাচল বন্ধ করতে ওই ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। তবে ফাঁকা রাস্তায় অতিরিক্ত গতি তোলা বেপরোয়া চালকেরাই যে শুধু কলকাতা পুলিশের মাথাব্যথার কারণ, তা নন। হেলমেটহীন মোটরবাইক চালক এবং বাইকে দু’জনের বেশি আরোহীও ট্র্যাফিক আইন বিরোধী কাজ। তাঁদের বিরুদ্ধেও এ বার ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
নির্দিষ্ট গতির থেকে বেশি গতিতে গাড়ি বা মোটরবাইক চালানোর সময়ে ধরা পড়লে সাধারণত মোটরযান আইনের ১৮৪ নম্বর ধারায় মামলা করা হয়ে থাকে। ওই ধারায় মামলা করার পাশাপাশি এ বার অভিযুক্ত চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্সও সাসপেন্ড করা হবে। কড়া নজর থেকে ছাড় পাবেন না তিন জন আরোহী নিয়ে চলা মোটরবাইকের চালকও। কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের এক কর্তা জানাচ্ছেন, বেপরোয়া চালকদের নিয়ন্ত্রণ করতেই ওই নির্দেশ কার্যকর করতে বলা হয়েছে। পথে যান চলাচলে শৃঙ্খলা আনতেই নির্দিষ্ট গতির থেকে বেশি জোরে গাড়ি চালালে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে অভিযোগ রয়েছে, শহরের বেশ কিছু রাস্তায় এবং কলকাতা পুলিশের সংযুক্ত এলাকা বা বন্দর এলাকায় বিশেষ করে রাতে বেপরোয়া গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ায় পুলিশের নজরদারির যথেষ্ট অভাব রয়েছে। এমনকি পুলিশের নজর এড়াতে শহরের অলিগলিতে বেপরোয়া গতিতে মোটরবাইক এবং গাড়িও চলে। সে ক্ষেত্রে লালবাজারের এই কড়া নির্দেশ আদৌ কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।