বিসর্জনের জন্য ঘাটে কড়া নিরাপত্তা

বাড়ি ও বারোয়ারি পুজো মিলিয়ে শহরে প্রায় চার হাজারের মতো পুজো হয়। দশমীতে বড় কোনও ক্লাবের প্রতিমা বিসর্জন না হলেও ছোট ছোট ক্লাব এবং বাড়ির প্রতিমা জলে পড়বে বলে মনে করছে পুলিশ। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০১৯ ০০:৪৬
Share:

ফাইল চিত্র।

শহরের মণ্ডপগুলির মতোই দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনের সময়ে কলকাতা পুলিশ এলাকার প্রতিটি ঘাটেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোর করছে লালবাজার। ওই ঘাটগুলিতে বিশৃঙ্খলা এড়াতে আঁটোসাঁটো নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আজ, মঙ্গলবার দশমী থেকে শহরের প্রায় ৭০টি ঘাটে প্রতিমা বিসর্জন হওয়ার কথা। এর মধ্যে রয়েছে গঙ্গার ২৪টি ঘাটও।

Advertisement

লালবাজার সূত্রের খবর, এ বার মঙ্গলবার থেকে চার দিন ধরে প্রতিমা নিরঞ্জন চলবে। বাড়ি ও বারোয়ারি পুজো মিলিয়ে শহরে প্রায় চার হাজারের মতো পুজো হয়। দশমীতে বড় কোনও ক্লাবের প্রতিমা বিসর্জন না হলেও ছোট ছোট ক্লাব এবং বাড়ির প্রতিমা জলে পড়বে বলে মনে করছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিসর্জন চলাকালীন প্রতিদিন গঙ্গায় নজরদারি চালাবে কলকাতা রিভার ট্র্যাফিক পুলিশের স্পিডবোট। ওই স্পিডবোটে থাকবেন বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যেরাও। এ ছাড়া প্রতিটি ঘাটেই প্রস্তুত থাকবেন অসামরিক প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যেরা। ১০ জন ডিসি পদমর্যাদার অফিসারকে ওই ঘাটগুলির নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁদের অধীনে থাকছেন একাধিক এসি এবং ওসি পদমর্যাদার অফিসার। এ ছাড়া গঙ্গার ঘাটগুলিতে প্রায় ১০০ জনের মতো অতিরিক্ত পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হচ্ছে, যাতে নির্বিঘ্নে প্রতিমা নিরঞ্জন করা যায়। এ ছাড়াও কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার ও অতিরিক্ত কমিশনারদের উপরে ঘাটের নিরাপত্তা দেখভালের দায়িত্ব থাকছে। পুলিশের দাবি, প্রতিটি ঘাটে সিসিটিভি-র পাশাপাশি ওয়াচ টাওয়ার বানানো হয়েছে।

Advertisement

অন্য বারের মতো এ বারও গঙ্গার ঘাটগুলি থেকে প্রতিমার কাঠামো তোলার জন্য পুরসভার তরফে ক্রেন রাখা হবে। যাতে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নির্দেশ মতো প্রতিমা বিসর্জন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কাঠামো জল থেকে তুলে ফেলা যায়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement