—প্রতীকী চিত্র।
কলকাতা পুলিশে কর্মরত সিভিক ভলান্টিয়ারেরা তাঁদের দৈনন্দিন ডিউটির সময়ে পুলিশের মোটরবাইক ব্যবহার করতে পারবেন না। এমনকি, তাঁদের নিজস্ব বাইক বা গাড়িতে লাগাতে পারবেন না পুলিশ লেখা স্টিকারও। সোমবার লালবাজারের তরফে প্রতিটি থানা, ট্র্যাফিক গার্ড এবং ডিভিশনকে মৌখিক ভাবে এমনই নির্দেশ পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত কয়েক দিনে শহরে একাধিক ঘটনায় বার বার নাম জড়িয়েছে সিভিক ভলান্টিয়ারদের। আর জি কর হাসপাতালে এক চিকিৎসক-পড়ুয়াকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনাতেও উঠে এসেছে এক সিভিক ভলান্টিয়ারের নাম। তদন্তে জানা যায়, সে পুলিশের বাইক নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। পরে সেই বাইক বাজেয়াপ্ত করেন তদন্তকারীরা। দিন দুয়েক আগে আর জি করের ঘটনার প্রতিবাদে পড়ুয়াদের মিছিলে এক সিভিক ভলান্টিয়ার মত্ত অবস্থায় ঢুকে পড়েছিলেন বলে অভিযোগ। প্রাথমিক ভাবে কর্তব্যরত সার্জেন্ট তাঁকে ছেড়ে দিলেও আন্দোলনরত পড়ুয়াদের চাপে পড়ে শেষমেশ ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করে কাশীপুর থানার পুলিশ। এর পরেই বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, কেন সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে না? তারই পরিপ্রেক্ষিতে বাহিনীতে কর্মরত সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ করল লালবাজার।
পুলিশ সূত্রের খবর, এত দিন থানার মোটরবাইক নিয়ে সিভিক ভলান্টিয়ারদের ঘুরতে দেখা যেত। আরও অভিযোগ, অনেক ক্ষেত্রে সেই বাইক নিয়ে তাঁরা ব্যক্তিগত কাজও করতেন। লালবাজারের সাম্প্রতিক নির্দেশে বলা হয়েছে, সিভিক ভলান্টিয়ারেরা থানার গাড়ি ব্যবহার করতে পারবেন না। টহলদারির প্রয়োজনে কোনও সিভিক ভলান্টিয়ারকে নিয়ে যেতে হলে তাঁর সঙ্গে কনস্টেবল বা পুলিশকর্মীকে থাকতে হবে। কিন্তু একা কোনও সিভিক ভলান্টিয়ার পুলিশের বাইক ব্যবহার করতে পারবেন না।