কেপিসি মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তারি পড়ুয়াদের বিক্ষোভ। ফাইল ছবি
বৃত্তি বৃদ্ধির দাবিতে বিক্ষোভ যাদবপুরের কেপিসি মেডিক্যাল কলেজে। ডাক্তারি পড়ুয়াদের বিক্ষোভের জেরে রাতভর হাসপাতালেই আটকে থাকলেন প্রিন্সিপাল-সহ কর্তৃপক্ষ। এই হাসপাতালে করোনা চিকিৎসার পাশাপাশি ভর্তি রয়েছেন অন্যান্য রোগীও। এমন অবস্থায় বিক্ষোভের প্রভাব পড়তে পারে চিকিৎসা পরিষেবাতে। যদিও বিক্ষোভকারীদের দাবি, ডিউটিতে না থাকা ডাক্তারি পডুয়ারাই এই বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন। তাই পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার প্রশ্ন ওঠে না।
আন্দোলনের কারণ হিসাবে এক ডাক্তারি পড়ুয়া জানান, হাসপাতালের অ্যাকাডেমিক বেতন প্রতি বছর বাড়েছে। কিন্তু শেষ ৬ বছরে ভাতা বাড়েনি। অন্য দিকে, লকডাউনে হাসপাতালে যাতায়তের খরচ বেড়েছে। কিন্তু তা নিয়েও কোনও ব্যবস্থা নেননি কলেজ কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের সিইও জয়দীপ মিত্র বলেন, ‘‘অন্য বেসরকারি হাসপাতালের তুলনায় এখানে পড়াশোনার খরচ অনেক কম। সেই তুলনায় ন্যায্য বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে।’’ করোনা রোগীর চিকিৎসা চলা হাসপাতালে ডাক্তারি পড়ুয়াদের বিক্ষোভে চিন্তিত স্বাস্থ্যভবনও। কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে স্বাস্থ্য দফতরের যোগাযোগ হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
চলতি সপ্তাহের সোমবার বৃত্তি বৃদ্ধির দাবিতে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন ডাক্তারি পড়ুয়ারা। সেই সময় কলেজ কাউন্সিলের বৈঠকে বিষয়টি আলোচনার আশ্বাস দেওয়ায় বিক্ষোভ তুলে নেওয়া হয়। কিন্তু শুক্রবারের সেই বৈঠকে কোনও সুরাহা না হওয়ায় আবারও বিক্ষোভ শুরু করেছেন ডাক্তারি পড়ুয়ারা। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক ডাক্তারি পড়ুয়া বলেন, ‘‘বৃত্তি না বাড়ানো পর্যন্ত বিক্ষোভ চলবে।’’