GST & KMC

জিএসটি-র কারণে কমে যাচ্ছে কলকাতার উন্নয়নের অর্থ, মেয়র ফিরহাদকে অভিযোগ কাউন্সিলরের

সম্প্রতি কলকাতা পুরসভার অধিবেশনে জিএসটির কারণে অর্থ কেটে নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তৃণমূল কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে। কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের সামনেই এই অভিযোগ করেছেন তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০২৩ ১৪:৩৭
Share:

কলকাতা পুরসভা। —ফাইল চিত্র।

ওয়ার্ড উন্নয়নের বরাদ্দ টাকা থেকে কেটে নেওয়া হচ্ছে জিএসটি। আর সেই কারণেই থমকে যাচ্ছে এলাকার উন্নয়ন। সম্প্রতি কলকাতা পুরসভার অধিবেশনে এমনটাই অভিযোগ করেছেন ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে। এই অভিযোগ তিনি করেছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের সামনে। পাশাপাশি, জিএসটির কারণে উন্নয়নের অর্থ কমে যাওয়ায় কাউন্সিলর বিশ্বরূপ অর্থ বরাদ্দ বৃদ্ধির আবেদন করেছেন মেয়রের কাছে।

Advertisement

প্রাক্তন ক্রিকেট প্রশাসক তথা কাউন্সিলর বিশ্বরূপ বলেন, ‘‘আগে ভ্যাট ছিল ৭ শতাংশ। আর এখন ১৮% জিএসটি এবং এক শতাংশ সেস। যার ফলে এক লক্ষ টাকার কোনও কাজ করতে গেলে আসলে পাওয়া যায় ৮০ হাজার টাকা। বাকি ২০ হাজার টাকা জিএসটি এবং সেস বাবদ চলে যায়।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমি কলকাতা পুরসভার কাছে আবেদন করব যে, প্রতি ওয়ার্ডের জন্য ৪০ লক্ষ টাকার বদলে ৫০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হোক। তাতে অন্তত জিএসটির টাকা কেটে এলাকার ওয়ার্ডের উন্নয়নের জন্য ৪০ লক্ষ টাকার কাজ করা যাবে। কারণ ফান্ডের সীমিত অর্থে পর্যাপ্ত কাজ করা যাচ্ছে না। তাই এলাকা উন্নয়নে কাউন্সিলার পিছু বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হোক।’’

দলীয় কাউন্সিলরের প্রস্তাবের পাল্টা মেয়র ফিরহাদ বলেন, ‘‘সীমিত আর্থিক ক্ষমতার মধ্যে এই মুহূর্তে কাউন্সিলার ফান্ড বৃদ্ধি করা সম্ভব নয়। তবে জিএসটির কারণে যে অতিরিক্ত টাকা কেটে নেওয়া হচ্ছে সেই বাড়তি টাকা ‘অ্যাডজাস্ট’ করা যায় কি না, সেই বিষয়টি আমি দেখব।’’

Advertisement

কলকাতা পুরসভার সূত্রে খবর, জিএসটির জন্য যে টাকা কেটে নেওয়া হয়, সেই বাড়তি টাকা দেওয়ার বিষয়ে ভাবনা-চিন্তা করছেন পুরসভা কর্তৃপক্ষ। তবে প্রত্যেক ওয়ার্ডের জন্য বরাদ্দ নির্দিষ্ট করে বাড়িয়ে দেওয়া এখনই সম্ভব হচ্ছে না। পুর অধিবেশনেই তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করে মেয়র বলেছেন, ‘‘কলকাতা পুরসভার আর্থিক স্বাস্থ্য ভালো হয়েছে এটা ঠিক। কিন্তু এখনও অনেক ঋণ জমে আছে। তবে এমন পরিস্থিতিতেও কলকাতার উন্নয়নের কাজে খামতি রাখা হচ্ছে না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement