— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
গত কয়েক বছরে একাধিক পুলিশকর্মী আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। অভিযোগ, কাজের চাপে, ছুটির অভাবে মানসিক অবসাদে ভুগছেন পুলিশকর্মীদের নিচুতলার একাংশ। তার জেরেই ওই পথ বেছে নিচ্ছেন তাঁরা। এ বার অবসাদ থেকে বাহিনীর কর্মীদের বাঁচাতে মনোবিদদের সাহায্য নিয়ে মঙ্গলবার একটি কর্মশালার আয়োজন করল ট্র্যাফিক পুলিশ। কী ভাবে কাজে ডুবে থেকে মানসিক চাপ কমানো যায়, সেই বিষয়ে সেখানে পরামর্শ দিয়েছেন মনোরোগ চিকিৎসক ও মনোবিদেরা।
একটি সংগঠনের সাহায্যে বেহালা ব্লাইন্ড স্কুলে ওই কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছে, এ দিনের ওই কর্মশালায় ছিলেন ডায়মন্ড হারবার, জেমস লং ও ঠাকুরপুকুর ট্র্যাফিক গার্ডের প্রায় ৭০ জন বিভিন্ন স্তরের পুলিশকর্মী। এ ছাড়া ছিলেন কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের উপ- নগরপাল (দক্ষিণ) অমিত সাউ। ট্র্যাফিক পুলিশকর্মীদের একাংশ জানিয়েছেন, কাজে ব্যস্ত থেকে অবসাদের মতো বিপদ আটকানো যায় না। তবে মনোবিদের কাছে গিয়ে, কাউন্সেলিংয়ে যোগ দিয়ে মনের কথা খুলে বললে অবসাদ অনেকটা কমানো যেতে পারে। সেই কথা মাথায় রেখেই এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছিল। যেখানে মনোরোগ চিকিৎসক ও মনোবিদরা প্রতিনিয়ত চাপে থাকা বাহিনীর মানসিক স্বাস্থ্য ভাল রাখতে প্রশিক্ষণ জরুরি বলে মত দিয়েছেন।
এক পুলিশকর্তা জানান, মনোরোগ চিকিৎসক ও মনোবিদেরা পুলিশকর্মীদের কাজের ফাঁকে গান শোনার কথা বলেছেন। বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে আড্ডা, বিভিন্ন পেশার লোকজনের সঙ্গে মতের আদানপ্রদানের পরামর্শও দিয়েছেন। পুলিশকর্মীদের একাংশের অভিযোগ, কাজের চাপে তাঁরা পরিবারকে সময় দিতে পারেন না, যা অবসাদের অন্যতম কারণ। সেই প্রসঙ্গে পুলিশকর্মীদের ছোট ছোট ছুটি নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
কর্মশালায় এসএসকেএমের মনোরোগ চিকিৎসক দিশা মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘অবসাদ কাটাতে বিভিন্ন পদ্ধতি ও কাউন্সেলিংয়ের কথা বলা হয়েছে পুলিশকর্মীদের। কী ভাবে ভাবনাকে আরও পজ়িটিভ করা যায়, সেই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’’