প্রতীকী ছবি।
তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে আজ, সোমবার দেশব্যাপী ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে সংযুক্ত কিষান মোর্চা। যাকে সমর্থন করেছে বাম দলগুলি। ধর্মঘটে শহরের বুকে কোনও রকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি যাতে না হয়, তার জন্য সক্রিয় হয়েছে লালবাজার। নেওয়া হয়েছে বিশেষ পুলিশি ব্যবস্থা। গোটা শহরে মোতায়েন করা হচ্ছে অতিরিক্ত তিন হাজারেরও বেশি পুলিশকর্মী।
লালবাজার সূত্রের খবর, যে কোনও রকমের অশান্তি মোকাবিলায় আজ সকাল থেকে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় মোতায়েন থাকবে অতিরিক্ত বাহিনী। তত্ত্বাবধানে থাকবেন যুগ্ম কমিশনার পদমর্যাদার অফিসারেরা। ধর্মঘটের নামে কোনও রকম বিশৃঙ্খলা বরদাস্ত করা হবে না বলে জানিয়েছে লালবাজার।
সপ্তাহের প্রথম কাজের দিনে ধর্মঘটীরা যাতে শহরকে অচল করতে না পারে অথবা ধর্মঘটকে কেন্দ্র করে যাতে কোনও সংঘর্ষ না হয়, তার জন্য শহরের ৯টি ডিভিশনে চারশোর বেশি জায়গায় পুলিশ পিকেট বসানো হচ্ছে। ভোর পাঁচটা থেকে তা কার্যকর হবে বলে লালবাজার জানিয়েছে। এর পাশাপাশি শহরের বাজারগুলিতে যাতে অশান্তি না হয়, তাই সেখানেও অতিরিক্ত পুলিশকর্মী মোতায়েন
করা হচ্ছে।
লালবাজারের এক কর্তা জানান, মেট্রো এবং রেলযাত্রীরা যাতে স্টেশনে ঢুকতে বাধা না পারেন, সে জন্য স্টেশনের বাইরেও বাহিনী থাকবে। পুলিশ থাকবে বাস ডিপোর সামনে। থানাগুলিকে সে দিকে নজর রাখতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া, প্রতি ডিভিশনে থাকবে অতিরিক্ত দল।
লালবাজার সূত্রের খবর, ধর্মঘট সমর্থকেরা যে সব জায়গায় গোলমাল বাধাতে বা পথ অবরোধ করতে পারেন বলে আশঙ্কা, সেখানে অতিরিক্ত পুলিশকর্মী রাখা হচ্ছে। ডিভিশনাল ডেপুটি কমিশনারেরা ছাড়াও শহর জুড়ে রাস্তায় থাকবেন ডিসি পদমর্যাদার ১৪ জন অফিসার। বিভিন্ন জায়গায় থাকবে কুইক
রেসপন্স টিম, হাই রেডিয়ো ফ্লাইং স্কোয়াড (এইচআরএফএস) এবং টহলদারি গাড়ি।
আগামী বৃহস্পতিবার ভবানীপুর কেন্দ্রের উপনিবাচন। ধর্মঘটীরা যাতে সেখানে প্রচারে বাধা না দেন, তার জন্য স্থানীয় থানাকে লক্ষ রাখতে বলা হয়েছে। ধর্মঘটকে কেন্দ্র করে কোনও বড় গোলমাল হলে তা সামাল দেওয়ার জন্য পিটিএসে বিশেষ বাহিনীকে তৈরি রাখা হচ্ছে।