ই-অফিসের পথে হাঁটছে কলকাতা পুলিশ। ফাইল চিত্র।
কাগজের ব্যবহার কমাতে এ বার ই-অফিসের পথে হাঁটছে কলকাতা পুলিশ। অর্থাৎ, কাগুজে নথি লেনদেনের বদলে এখন থেকে সেই কাজ করা হবে ই-ফাইলের মাধ্যমে।
লালবাজার সূত্রের খবর, আগামী ১ নভেম্বর থেকে কলকাতা পুলিশের সব ইউনিটে ই-অফিস চালু করার নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। একই সঙ্গে সব পুলিশকর্মী যাতে আগামী সোমবারের মধ্যে এনআইসি ইমেল আইডি এবং ই-অফিস অ্যাকাউন্ট খোলেন, সিপি-র নির্দেশে সেই কথাও বলা হয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, ই-অফিস ব্যবস্থা পুরোপুরি চালু হলে এখনকার মতো ফাইল লেনদেনের ক্ষেত্রে কাগজের ব্যবহার কমে যাবে। পুরোটাই হবে অনলাইনে। তবে কোথাও কাগজে ছাপা নথির দরকার হলে তা ডাউনলোড করে দেওয়া হবে। এক পুলিশকর্তা জানান, যে সব ফাইলে স্বাক্ষর প্রয়োজন, সেই কাগজ স্ক্যান করে তাতে সই করে ফের ই-অফিসে জুড়ে দিতে হবে।
সূত্রের খবর, গত কয়েক মাস ধরেই কলকাতা পুলিশে ই-অফিস চালুর প্রক্রিয়া চলছে। বেশ কিছু ইউনিটে তা ইতিমধ্যে চালুও হয়ে গিয়েছে। আগামী মঙ্গলবার থেকে ওই ই-অফিসের মাধ্যমে ইন্টার-ইউনিট ফাইল চালাচালি বা ফাইল লেনদেন বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। পুলিশের একাংশের মতে, এতে যেমন কাগজ বাঁচবে, তেমনই ফাইল নিয়ে দীর্ঘসূত্রতারও অবসান ঘটবে।
প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী, ই-অফিস চালুর আগে এখন দিনে গড়ে কয়েক হাজার এ-ফোর মাপের কাগজ লাগে কলকাতা পুলিশের বিভিন্ন দফতরে। পরিবেশবিদদের মতে, একটি গাছ কেটে তিন হাজার কাগজ তৈরি করা হয়। ফলে কলকাতা পুলিশ ই-অফিস ব্যবস্থা সর্বত্র চালু করলে তা পরিবেশবান্ধবও হবে।
পুলিশ সূত্রের খবর, ই-অফিস চালুর আগে কর্মীদের যেমন প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, তেমনই অফিসারদের হাতেকলমেও দেখানো হয়েছে। ফলে ইতিমধ্যে অফিসারদের ছুটি সংক্রান্ত এবং অন্যান্য জরুরি কাজের আবেদন ই-ফাইলের মাধ্যমে চালু হয়ে গিয়েছে। কলকাতা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘দীর্ঘদিন ধরেই কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনলাইনে সব কিছু করার চেষ্টা করছেন। আশা করা যায়, এই ব্যবস্থা চালু হলে কাগজের ব্যবহার কমবে অনেকটাই। ফাইল কোথায় আটকে রয়েছে বা কার কাছে রয়েছে, তা-ও সহজেই জানা যাবে। এতে পরিবেশরক্ষার সঙ্গে কাজের গতিও বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করা হচ্ছে।’’