এই সেই বেলজিয়ান মালিনয়েজ প্রজাতির কুকুর। —ফাইল চিত্র
মার্কিন প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তা বাহিনীতে যে বিশেষ প্রশিক্ষিত কুকুর বাহিনী রয়েছে, সেই একই প্রজাতির কুকুরকে এ বার দেখা যাবে নবান্নের প্রহরাতেও। কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, শহরে যে কোনও জঙ্গি হানার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য যে বিশেষ সারমেয় বাহিনী তৈরি করা হচ্ছে, তাতে শামিল করা হবে বেলজিয়ান মালিনয়েজ ওরফে মালিনওয়াঁ প্রজাতির কুকুরকেও।
গোটা বিশ্বে এই প্রজাতির কুকুরকে যে কোনও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য হিসাবে সবচেয়ে যোগ্য বলে বিবেচনা করা হয়। কারণ, মালিনওয়াঁর কর্মক্ষমতা ও বুদ্ধি অন্য যে কোনও প্রজাতির কুকুরের থেকে অনেক বেশি।
অপরাধী খুঁজে বার করা এবং গোয়েন্দাদের সাহায্য করতে কলকাতা পুলিশের ডগ স্কোয়াড রয়েছে। ২০১৮ সালে তার বাইরে বিশেষ সারমেয় বাহিনী গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। মূলত সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ রোখা এবং নিরাপত্তার জন্য ব্যবহার করা হবে ওই স্পেশালাইজড ডগ স্কোয়াডের কুকুরদের। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই ওই বিশেষ ডগ স্কোয়াড তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। হায়দরাবাদের একটি কেনেল থেকে কেনা হয়েছে ১২টি কুকুর। তার মধ্যে ১০টি জার্মান শেফার্ড ডগ এবং দু’টি ল্যাব্রাডর। ওই কুকুরদের প্রাথমিক প্রশিক্ষণও শুরু হয়ে গিয়েছে কলকাতার পুলিশ ট্রেনিং স্কুলে। কলকাতা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘জঙ্গি দমন বা সন্ত্রাস বিরোধী লড়াইয়ে সারা বিশ্বের প্রথম সারির বিশেষ প্রশিক্ষিত বাহিনীর প্রথম পছন্দ বেলজিয়ান মালিনয়েজ। ভারতেও নকশাল-বিরোধী অপারেশনে সিআরপিএফ এবং আইটিবিপি এই প্রজাতির কুকুর ব্যবহার করে। তাই আমরাও এই কুকুর আমাদের বাহিনীতে নিতে চাই।”
আরও পড়ুন: আদালতের ভিতরেই বিচারককে লক্ষ্য করে জুতো, ফের হামলার চেষ্টা আইএস জঙ্গি মুসার
আরও পড়ুন: সকলে জানত দুঁদে পুলিশকর্তা, ধরা পড়তেই বেরিয়ে এল আসল পরিচয়
সিআরপিএফ ডগ স্কোয়াডের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘প্রচণ্ড প্রাণশক্তি এই ধরনের কুকুরের। তা ছাড়া এয়ার ড্রপের ক্ষেত্রে এই কুকুর বয়ে নিয়ে যাওয়া অনেক সুবিধাজনক।” কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, ১৮টি এই প্রজাতির কুকুর কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ছাড়পত্র মিলেছে স্বরাষ্ট্র দফতর থেকেও। কলকাতা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘বিশেষ ওই সারমেয় বাহিনী গঠনের কাজ শেষ হলে তা ভারতের যে কোনও কমিশনারেটের মধ্যে অন্যতম সেরা হয়ে উঠবে।’’ সূত্রের খবর, এই বাহিনী গঠনের জন্য ইতিমধ্যেই ১ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। তবে কুকুরদের কিনে তাদের প্রশিক্ষণ শেষ করে বাহিনীর কাজে যোগ দেওয়ার উপযুক্ত হতে একটা বছর সময় লাগবে বলে মনে করছেন কলকাতা পুলিশের আধিকারিকরা।