প্রস্তুতি: রেড রোডে স্বাধীনতা দিবসের কুচকাওয়াজের চূড়ান্ত মহড়ায় ‘খেলা হবে’ ট্যাবলো। শুক্রবার। ছবি: রণজিৎ নন্দী।
স্বাধীনতা দিবসে রেড রোডের মূল অনুষ্ঠানে এবং শহর জুড়ে নিরাপত্তায় কোনও ফাঁক রাখতে চাইছে না কলকাতা পুলিশ। তবে অতিমারি আবহে এ বছরেও রেড রোডের অনুষ্ঠানে প্রবেশানুমতি থাকছে না সাধারণ দর্শকের।
লালবাজার সূত্রের খবর, নিরাপত্তার স্বার্থে এ বার রেড রোডকে সাতটি জ়োনে ভাগ করা হয়েছে, যার দায়িত্বে রয়েছেন কলকাতা পুলিশের সাত ডেপুটি কমিশনার। প্রতিটি জ়োনকে আবার একাধিক সেক্টরে ভাগ করা হয়েছে। অর্থাৎ মোট ৪৬টি সেক্টর থাকছে রেড রোড সংলগ্ন এলাকায়। প্রতি সেক্টরের দায়িত্বে থাকবেন এক জন করে অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার বা এসি পদমর্যাদার অফিসার। গোটা রেড রোড চত্বরে নজরদারি চালানোর জন্য তৈরি করা হয়েছে ৬টি ওয়াচ টাওয়ার বা নজর মিনার। থাকছে ৮টি মোটরবাইক দল, যারা অনুষ্ঠান চলাকালীন চারটি জ়োনের মধ্যে ঘুরবে।
পুলিশ সূত্রের খবর, নিরাপত্তার জন্য ওই দিন রেড রোডে একাধিক জায়গায় থাকছে বালির বাঙ্কার, যেখানে থাকবেন কমব্যাট বাহিনীর সদস্যেরা। এ ছাড়া থাকছে কমান্ডো বাহিনীও। অতিরিক্ত হেভি রেডিয়ো ফ্লাইং স্কোয়াড এবং পিসিআর ভ্যানও থাকছে ধর্মতলা এবং রেড রোড অঞ্চলে। লালবাজার জানিয়েছে, স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে গোটা শহরের নিরাপত্তাও বাড়ানো হয়েছে। কলকাতা পুলিশের ন’টি ডিভিশনের ডেপুটি কমিশনারকে আজ, শুক্রবার থেকেই নিজেদের এলাকার বিভিন্ন হোটেল ও গেস্ট হাউসে আসা অতিথিদের নথি পরীক্ষা করতে বলা হয়েছে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলিতেও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। শহরে মোতায়েন হয়েছে কয়েক হাজার অতিরিক্ত পুলিশ।
পুলিশ জানায়, রবিবার রেড রোডে সকাল ১০টা ১০ মিনিটে অনুষ্ঠান শুরু হয়ে চলবে ১১টা পর্যন্ত। মুখ্যমন্ত্রী সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ রেড রোডে হাজির হবেন। অনুষ্ঠানে কুচকাওয়াজে অংশ নেবে কলকাতা পুলিশ এবং রাজ্য পুলিশ। এ ছাড়াও কলকাতা পুলিশের ট্র্যাফিক বিভাগের একটি এবং রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে আটটি ট্যাবলো থাকছে। প্রদর্শনীর প্রথমেই থাকবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের ট্যাবলো। পুলিশের এক কর্তা জানান, এর পরে আসার কথা স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, দুয়ারে রেশন, দুয়ারে সরকার, খেলা হবে, কৃষক বন্ধু, জলস্বপ্ন এবং একতাই সম্প্রীতি প্রকল্পের ট্যাবলোগুলির।