মহিলা বক্সার সুমন কুমারী। ছবি: ফাইল চিত্র।
ঘটনার ১১ দিনের মধ্যে মহিলা বক্সার সুমন কুমারীকে হেনস্থার ঘটনায় তিন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করলেন সাউথ পোর্ট থানার তদন্তকারীরা। বিচারক চার্জশিট গ্রহণ করেছেন এবং আগামী ১০ জুলাই চার্জ গঠনের দিন নির্দিষ্ট করেছেন। ওই দিন পর্যন্ত অভিযুক্তদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
গত ২৮ জুন বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ নিজের স্কুটারে অফিসে যাচ্ছিলেন আন্তর্জাতিক স্তরে সাফল্য পাওয়া বক্সার সুমন কুমারী। রাস্তায় তিন যুবক তাঁকে উদ্দেশ্য করে কটূক্তি করে। সুমন জানিয়েছিলেন, তাঁর স্কুটারের সামনে দিয়ে ওই তিন যুবক বাস ধরতে যান। তিনি তাঁদের জায়গা করে দিয়েছিলেন। কিন্তু তাও ওই যুবকরা তাঁকে গালিগালাজ করে। এর পরই তিনি প্রতিবাদ করার জন্য ওই বাসটিকে ধাওয়া করে পরের বাস স্টপ পর্যন্ত যান এবং সেখানে ওই যুবকদের প্রশ্ন করেন কেন তাঁকে গালিগালাজ করা হয়েছে।
অভিযোগ, প্রশ্ন শুনেই ওই তিন যুবক বাস থেকে নেমে এসে সুমনকে ফের গালিগালাজ দেওয়া শুরু করে, হুমকি দেয় এবং গলা চেপে ধরে। তাঁকে মারধর করতে শুরু করলে তিনি সাহায্য চেয়ে চেঁচিয়ে ওঠেন। তখন স্থানীয়রা মধ্যস্থতা করে তাঁকে উদ্ধার করেন।
আরও পড়ুন: রাতের শহরে শ্লীলতাহানি, ১০০ নম্বরে ডায়ালের ৫ মিনিটের মধ্যেই ধরে ফেলল পুলিশ
এর পরই সুমন কুমারী তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া আ্যাকাউন্টে গোটা ঘটনা জানান। এর পরই পুলিশ তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং দক্ষিণ বন্দর থানায় ওই দিন সন্ধ্যাতেই তাঁর অভিযোগ নথিভুক্ত করে পুলিশ। ডিসি বন্দর ওয়াকার রাজা বলেন, অভিযোগ পাওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ এবং স্থানীয় সোর্স ব্যবহার করে তিন অভিযুক্ত শেখ ফিরোজ, রাহুল শর্মা এবং ওয়াসিম খানকে গ্রেফতার করা হয়। পরের দিন আদালতে পেশ করা হলে তাদের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। এরপরই তদন্তকারীরা অভিযুক্তদের নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করেন। জেল হেফাজতে সুমন কুমারী তিন অভিযুক্তকেশনাক্তও করেন। পুলিশ সোমবার ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪,৫০৬,৫০৯ এবং ১১৪ ধারায় চার্জশিট জমা দিয়েছে।
মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট সেই চার্জশিট গ্রহণ করেন। অভিযুক্তদের আইনজীবী ধৃতদের জামিন চান। কিন্তু সরকারি আইনজীবী জামিনের বিরোধিতা করেন এবং হেফাজতে রেখেই ধৃতদের বিচারের পক্ষে সওয়াল করেন। আদালত জামিনের আর্জি খারিজ করে দেন এবং ১০জুলাই চার্জ গঠনের দিন নির্দিষ্ট করেন।