বিধানসভার সামনে বিক্ষোভ। সোমবার। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক
সোমবার বিধানসভা অভিযানের ডাক দিয়েছিল কলেজের আংশিক সময়ের শিক্ষকদের সংগঠন কুটাব। সেই মতো এ দিন ওই সংগঠনের সদস্যেরা দুপুরে বিধানসভার সামনে স্লোগান দিয়ে মিছিল শুরু করেন। পুলিশ এসে বিধানসভার দু’নম্বর গেটের সামনে মিছিলের গতি রোধ করে।
মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা মতো ‘স্টেট এডেড কলেজ টিচার’ (স্যাক্ট) যাঁরা হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে এই আংশিক সময়ের শিক্ষকেরাও রয়েছেন। কুটাবের সাধারণ সম্পাদক গৌরাঙ্গ দেবনাথ এ দিন জানান, স্যাক্ট সংক্রান্ত বিভিন্ন বঞ্চনার প্রতিবাদেই এ দিন আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছিল। তাঁর অভিযোগ, স্যাক্ট সংক্রান্ত সরকারি সব নির্দেশ বাস্তবায়িত হচ্ছে না কলেজগুলিতে। একই কাজ, একই পদমর্যাদা, একই যোগ্যতা হওয়া সত্ত্বেও কোনও অধ্যাপক পাচ্ছেন ৩৩ হাজার টাকা, কেউ বা ২৭ হাজার টাকা, আবার কেউ বা ২৫ হাজার। ৩০ বছর পড়িয়েও সিনিয়র শিক্ষকেরা চূড়ান্ত ভাবে বঞ্চিতই থেকে যাচ্ছেন বলে তাঁর অভিযোগ। তাঁর কথায়, ‘‘বছরখানেকের বেশি পেরিয়ে গেলেও ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে জুন মাসের বেতন, যা এরিয়ার হিসেবে পাওয়ার কথা, বাস্তবে তা কবে পাব, কেউ বলছেন না। লিভ রুল-সহ সমস্ত সরকারি আদেশ কবে প্রকাশিত হবে, তা নিয়েও সদুত্তর মিলছে না। অবিলম্বে বেতন-বৈষম্য দূর করে স্যাক্ট ওয়ান অধ্যাপকদের ১০ বছর অতিক্রান্ত হলে সমান বেতন-সহ ৬৫ বছর পর্যন্ত চাকরির সুযোগ দেওয়া হোক।’’
প্রত্যেক স্যাক্ট ওয়ান এবং স্যাক্ট টু শিক্ষক-শিক্ষিকাকে অভিজ্ঞতা ও যোগ্যতার নিরিখে অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসরদের সমান বেসিক পে দেওয়া সহ-বেশ কিছু দাবি নিয়েই এ দিন তাঁদের বিধানসভা অভিযান ছিল বলে গৌরাঙ্গ জানালেন। তিনি জানান, এই সমস্ত দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের আন্দোলন চলবে।