এই সেই ইয়াবা ট্যাবলেট। নিজস্ব চিত্র।
প্রায় এক কোটি টাকার ইয়াবা ট্যাবলেট পাচার করতে গিয়ে পাকড়াও হল তিন পাচারকারী। আনন্দপুর থানা এলাকার মাদুরদহ-চৌবাগা রোডে একটি গাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক ট্যাবলেট এবং প্রায় ১১ কিলোগ্রাম ট্যাবলেট তৈরির কাঁচামাল অ্যামফেটামাইন উদ্ধার করল কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। ধৃত ইন্দ্রজিৎ দাস, মেহের আলি এবং সিরাজুল শেখকে পাকড়াও করার পর জানা গিয়েছে, ওই মাদক তারা বাংলাদেশ সীমান্তে নিয়ে যাচ্ছিল।
এর আগে গত মাসের ২০ তারিখ এসটিএফের গোয়েন্দারা ময়দান এলাকা থেকে মণিপুরের ২ বাসিন্দাকে গ্রেফতার করেন। তাদের কাছ থেকেও উদ্ধার হয় প্রায় ৫০ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট। এসটিএফ সূত্রে খবর, মণিপুরের থৌবলের বাসিন্দা শাকিল আহমেদকে পাকড়াও করে কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা এবং নদিয়ায় ইয়াবা পাচারের একটি বড় চক্রের হদিশ পেয়েছেন গোয়েন্দারা।
এসটিএফের গোয়েন্দাদের দাবি, ইয়াবা ট্যাবলেট তৈরির কাঁচামাল এ দেশের বিভিন্ন ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার কাছ থেকে চোরাপথে সংগ্রহ করে মাদক কারবারীরা। সেই কাঁচামাল সোজা চলে যায় মণিপুর হয়ে সীমান্ত পেরিয়ে মায়ানমারে। সেখানে আন্তর্জাতিক মাদক পাচারকারীরা ওই কাঁচামাল থেকে ট্যাবলেট তৈরি করে। মাদক হিসাবে সেই ট্যাবলেটের বিশাল বাজার বাংলাদেশে।
আরও পড়ুন: প্রসবের ১১ দিনের মাথায় মৃত কনস্টেবল
আরও পড়ুন: বিদেশবাসের উচ্চাকাঙ্ক্ষা! আত্মীয় ডাক্তার পরিবারের সকলকে খুন করে লুঠের ছক কষেছিল টিয়া
এসটিএফের এক গোয়েন্দা জানিয়েছেন, বাংলাদেশে মদ নিষিদ্ধ হওয়ায়, ইয়াবা খাওয়ার মারাত্মক প্রবণতা সেখানে রয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি বাংলাদেশে মাদক পাচারকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশ খুব কড়া ব্যবস্থা নেওয়ায়, পাচারকারীরা ক্রমাগত পাচারের রুট পাল্টাচ্ছে। আগে সমুদ্রপথে চট্টগ্রামের পথে পাচার হত ইয়াবা। অনেক সময় সিলেটের পথেও হত। কিন্তু পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে বেশ কিছু মাদক পাচারকারীর মৃত্যু হওয়ায় এ রাজ্য ধরে নতুন পাচারের রুট তৈরি করছে।
গোয়েন্দাদের দাবি, মায়ানমার থেকে মণিপুর হয়ে মাদক ট্যাবলেট সড়ক পথে চলে আসছে কলাকাতায়। সেখান থেকে চলে যাচ্ছে নদিয়ার চাপড়া এবং উত্তর ২৪ পরগনার ঘোজাডাঙা এবং হাকিমপুরের সীমান্তবর্তী বিভিন্ন গ্রামে। সেখানে সাধারণ গ্রামবাসীদের একটা বড় অংশকে ট্যাবলেট পাচারে কাজে লাগানো হচ্ছে।