শহরের একাংশের নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হল বিশেষ প্রমীলা বাহিনীকে। সৌজন্যে— কলকাতা পুলিশ।
সাত সকালে ভিক্টোরিয়ায় হাঁটতে যাওয়া মানুষদের নজর কেড়ে নিল মূল গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা কলকাতা পুলিশের সাঁজোয়া গাড়ি।
গাড়িটা রোজই থাকে। কিন্তু গাড়ির ভিতর আর বাইরে অত্যাধুনিক রাইফেল নিয়ে যাঁরা দাঁড়িয়ে আছেন, তাঁদের আগে কখনও দেখা যায়নি। নীলচে পোশাক আর মাথায় হেলমেট। হাতে স্বয়ংক্রিয় রাইফেল। এই চেহারায় কলকাতা পুলিশের কোনও মহিলা সদস্যকে দেখেনি শহরবাসী।
মঙ্গলবার সকাল থেকে শহরের একাংশের নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হল ওই বিশেষ প্রমীলা বাহিনীকে। নতুন তৈরি এই বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে এ দিন সকালে দেখা করেন নগরপাল অনুজ শর্মা, যুগ্ম কমিশনার (সশস্ত্র পুলিশ) প্রবীণ ত্রিপাঠি এবং ডিসি (কমব্যাট) এন এস পল।
কলকাতা পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, সদ্য নিযুক্ত ২০০ মহিলা কনস্টেবলের মধ্যে ৩০ জনকে বেছে নেওয়া হয় বিশেষ প্রশিক্ষণের জন্য। সন্ত্রাস দমন থেকে শুরু করে যে কোনও সশস্ত্র হামলার মোকাবিলার প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তাঁরা। দু’মাসের ওই বিশেষ প্রশিক্ষণে এক দিকে তাঁদের শেখানো হয়েছে অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার, লড়াইয়ের কৌশল। সেই সঙ্গে তাঁরা রপ্ত করেছেন, অস্ত্র ছাড়া খালি হাতে লড়াই করার পদ্ধতি এবং সহ্য ক্ষমতা বৃদ্ধি।
বাহিনীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনে নগরপাল অনুজ শর্মা। সৌজন্যে— কলকাতা পুলিশ।
এই বাহিনীকে এখন থেকে শহরের কুইক রেসপন্স টিমের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। তাঁরা এখন শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় প্রহরার দায়িত্বে থাকবেন। ভিক্টোরিয়ার পাশাপাশি এ দিন পার্ক স্ট্রিট চত্বরেও তাঁদের মোতায়েন করা হয়।
এই সশস্ত্র মহিলা বাহিনীর উদ্বোধনের আগে কলকাতা পুলিশ মহিলাদের সুরক্ষার জন্য উইনার্স বাহিনী তৈরি করে। সেই বাহিনীর মহিলা সদস্যেরা শহর জুড়ে টহলদারি চালান মহিলাদের সুরক্ষার জন্য। সোমবারই সেই উইনার্স টিমের সদস্য বাড়ানো হয়। সাতটি ‘শক্তি’ ভ্যান শহরের রাস্তায় নামানো হয় যেখানে সমস্ত সদস্যরাই মহিলা।