বৃদ্ধা-খুনে জামিনের বিরোধিতা

যোধপুর পার্কের একটি বহুতলের তিনতলার বাসিন্দা শ্যামলীদেবী গত ৪ এপ্রিল নিজের ফ্ল্যাটেই খুন হন। তদন্তে নেমে পুলিশ প্রথমে আবাসনের কেয়ারটেকার সঞ্জীব দাস ও মালি স্বপন মণ্ডলকে গ্রেফতার করে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০১৯ ০১:১৮
Share:

আবাসনের এই ফ্ল্যাটেই থাকতেন ওই বৃদ্ধা। —ফাইল চিত্র

যোধপুর পার্কে বৃদ্ধা শ্যামলী ঘোষের খুনের ঘটনায় প্রতিবেশী দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ওই আবাসনের মালি স্বপন মণ্ডলের জামিনের বিরোধিতা করে হাইকোর্টে যাচ্ছে কলকাতা পুলিশ। মঙ্গলবার লালবাজার সূত্রের খবর, হাতে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ পেয়েই ওই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। কিন্তু বিচার প্রক্রিয়া শুরুর আগেই নিম্ন আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন দু’জন। কোর্টের সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেই হাইকোর্টে যাবে পুলিশ। সঞ্জীব দাস নামে তৃতীয় জনের অবশ্য জামিন হয়নি।

Advertisement

যোধপুর পার্কের একটি বহুতলের তিনতলার বাসিন্দা শ্যামলীদেবী গত ৪ এপ্রিল নিজের ফ্ল্যাটেই খুন হন। তদন্তে নেমে পুলিশ প্রথমে আবাসনের কেয়ারটেকার সঞ্জীব দাস ও মালি স্বপন মণ্ডলকে গ্রেফতার করে। পুলিশের দাবি, তাঁদের জেরা করে জানা যায়, চারতলার বাসিন্দা দেবাশিসবাবুর নির্দেশেই শ্যামলীদেবীকে খুন করা হয়।

পুলিশ জানায়, শ্যামলীদেবীর ফ্ল্যাট থেকে একটি ডায়েরি মিলেছে। যাতে ওই বৃদ্ধা খুন হতে পারেন বলে আশঙ্কার কথা লিখেছিলেন। কারা খুন করতে পারে, সেই নামও লেখা ছিল। পুলিশের দাবি, ওই বহুতলের একতলা ও দোতলার দু’টি ফ্ল্যাট এক রকম জোর করেই হস্তগত করেছিলেন দেবাশিসবাবু। বৃদ্ধার ফ্ল্যাটটি পেতেও তাঁকে কয়েক বছর ধরে চাপ দিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। কিন্তু শ্যামলীদেবী ফ্ল্যাট ছাড়তে রাজি না হওয়াতেই তাঁকে খুন করানো হয় বলে ধারণা পুলিশের।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement