Kolkata Police

খুনই হয়েছেন যুবক, মিলল পরিচয়

গোয়েন্দারা জানান, দেহের একটি দিকেই আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়না-তদন্তে চিকিৎসকেরা গুলি করে খুনের কথা উল্লেখ করায় তা অন্য কোথাও করা হয়েছে বলে অনুমান গোয়েন্দাদের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০২১ ০১:৪৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

ই এম বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতাল সংলগ্ন ফুটপাত থেকে উদ্ধার হওয়া মৃত যুবককে খুনই করা হয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ। ময়না-তদন্তকারী চিকিৎসক পুলিশকে জানিয়েছেন, গুলি করে খুন করা হয়ে থাকতে পারে ওই যুবককে। যদিও দেহ থেকে এখনও কোনও গুলি উদ্ধার হয়নি।
মঙ্গলবার ওই যুবকের পরিচয়ও জানতে পেরেছে পুলিশ। খুন হওয়া যুবকের নাম সঞ্জিত দাস।

Advertisement

তাঁর বাড়ি সল্টলেকের দত্তাবাদে। এ দিন তাঁর দেহ শনাক্ত করেন পরিবারের সদস্যেরা। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ঘটনায় খুনের মামলা রুজু করা হচ্ছে।

লালবাজার সূত্রের খবর, সোমবার ভোর পাঁচটা নাগাদ ফুলবাগান থানার পুলিশ খবর পেয়ে ওই বেসরকারি হাসপাতাল সংলগ্ন ফুটপাত থেকে দেহটি উদ্ধার করে। যুবকের মাথায় ও মুখে আঘাতের চিহ্ন ছিল। প্রচুর রক্তপাতও হয়েছিল। সোমবার দেহটির ময়না-তদন্ত করা হলেও মৃত্যুর কারণ নিয়ে চিকিৎসকেরা কোনও মতামত দেননি। এ দিন ময়না-তদন্তকারী চিকিৎসকেরা ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন। সেই সঙ্গে ওই যুবকের ঘটনাস্থলে পড়ে থাকার ছবিও দেখেন। এর পরেই তাঁদের অনুমান, সঞ্জিতকে গুলি করে খুন করার পরে ওখানে ফেলে যাওয়া হয়েছে। কারণ অনেক দূর পর্যন্ত রক্তের দাগ ছিল। যা দেখে অনুমান, যুবককে মারার পরে দেহটি টেনে আনা হয়েছে ফুটপাতের কাছে।

Advertisement

তদন্তে জানা গিয়েছে, সঞ্জিত আগে ইএম বাইপাসের ধারের একটি শপিং মলে কাজ করতেন। গত এক বছর ধরে স্থায়ী কোন আয় ছিল না তাঁর। রাতে ফিরবেন জানিয়ে ওই দিন বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন তিনি। কিন্তু রাতে বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকেরা বিভিন্ন জায়গায় তাঁর খোঁজ করতে শুরু করেন। পরে জানা যায়, বাড়ি থেকে কিছু দূরে ফুটপাতের ধারে উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাতপরিচয় যুবকই সঞ্জিত।

তদন্তকারীরা জানান, সঞ্জিত কাদের সঙ্গে মেলামেশা করতেন, তা জানার চেষ্টা চলছে। সেই সূত্রেই খুনের প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে মত তদন্তকারীদের।

গোয়েন্দারা জানান, দেহের একটি দিকেই আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়না-তদন্তে চিকিৎসকেরা গুলি করে খুনের কথা উল্লেখ করায় তা অন্য কোথাও করা হয়েছে বলে অনুমান গোয়েন্দাদের। ঘটনাস্থলের পার্শ্ববর্তী এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement