আলোকিত: বড়দিন ও ইংরেজি নতুন বছর উপলক্ষে সেজেছে শহর। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল। ছবি: সুমন বল্লভ
বড়দিনে শহরের রাজপথে মহিলাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এ বার জিপিএস-যুক্ত একাধিক গাড়ি রাস্তায় নামাল কলকাতা পুলিশ। সেই সঙ্গে পার্ক স্ট্রিট এলাকায় নজরদারি আরও কড়া করছে পুলিশ।
জিপিএসের ব্যবস্থা রয়েছে এমন ২৭টি গাড়ি এবং ৪০টি মোটরবাইক সোমবার থেকেই পথে নামানো হয়েছে। এর মধ্যে ২০টি গাড়ি ডিভিশনগুলির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। বাকি ৭টি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করা হবে লালবাজার কন্ট্রোল রুম থেকে। মূলত বিপদে পড়ে কেউ ১০০ নম্বরে ডায়াল করলে লালবাজার থেকে এই গাড়িগুলিকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হবে।
এ ছাড়াও মেয়েদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এ দিন কলকাতা পুলিশের মহিলা বাহিনী ‘উইনার্স’-এর নতুন সদস্যদের হাতে ১০টি স্কুটার তুলে দেওয়া হয়েছে। কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা জানিয়েছেন, মেয়েদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতেই ‘রেসপেক্ট উইমেন’ প্রকল্পের অধীনে এই গাড়িগুলিকে নামানো হল।
তবে শুধু মেয়েদের নিরাপত্তাই নয়। বড়দিন উপলক্ষে শহরে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রায় একশোটি বিশেষ পিকেটিংয়ের ব্যবস্থা করেছে পুলিশ। প্রতিটি ডিভিশনের এসি, ডিসি এবং থানার অফিসার ইনচার্জদের নিজের নিজের এলাকার শান্তি বজায় রাখতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ কমিশনার। বিশেষ করে গির্জাগুলিতে, যেখানে এই সময়ে বেশি ভিড় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, সেখানে নজরদারি বাড়াতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে আজ, মঙ্গলবার থেকে দু’দিন বাড়তি নজরদারি থাকবে অন্য ধর্মীয় স্থান এবং শপিং মলগুলিতেও। শহরের প্রায় ৬০টি গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে থাকছে নাকা তল্লাশির ব্যবস্থাও। মত্ত অবস্থায় কেউ গাড়ি চালালে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ রয়েছে লালবাজারের। একই সঙ্গে সন্ধ্যার পর থেকেই পার্ক স্ট্রিট ও সংলগ্ন এলাকায় বাইক এবং গাড়ি তল্লাশির উপরে জোর দিতে বলেছেন কমিশনার। এমনকি শব্দসীমা লঙ্ঘন করলেও পুলিশকে আইনি ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
বড়দিন উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কঠোর করতে চার জন এসি এবং দু’জন ডিভিশনাল ডিসি-কে পার্ক স্ট্রিটের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও ওই এলাকায় নজরদারি চালাতে বলা হয়েছে ডিসি ওয়্যারলেস এবং ডিসি আরএফ-কেও। এলাকা চারটি ভাগে ভাগ করে ১১টি ওয়াচ টাওয়ার এবং পুলিশ-অ্যাসিস্ট্যান্ট বুথ রাখা হচ্ছে। মোতায়েন করা হচ্ছে এইচআরএফএস। থাকছে ২০টি অতিরিক্ত সিসি ক্যামেরা
এবং দূরবীনও। হোটেল, রেঁস্তরা এবং নাইট ক্লাবগুলির বাইরেও চলবে বিশেষ নজরদারি।